প্রথমবার আলোচনার বিষয় ছিল চিটফান্ড তদন্তে সিবিআইকে ব্যবহার করা নিয়ে। এ বার একেবারে নারদ স্টিং অপারেশনের ম্যাথু স্যামুয়েলসের থেকে ফুটেজ কেনার দর-দাম নিয়ে আলোচনা। আবার ফাঁস হলো বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ফোনে কথোপকথন। রবিবার দুপুরের পর থেকেই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে শুরু করেছে সেই অডিও টেপের ক্লিপিং। শোনা যাচ্ছে, তাতে তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ জন্য জুয়া খেলার কথা উঠে এসেছে দুই নেতার কথোপকথনে।
অডিও ক্লিপিংটির শুরুতেই শোনা যাচ্ছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে মুকুল রায় বলছেন, একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য ফোন করেছি। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমাকে ম্যাথু (ম্যাথু স্যামুয়েলস) ফোন করেছিলেন। বলেছেন, ওঁর কাছে ১২৪ ঘণ্টার ডকুমেন্টারি আছে। যা জনসমক্ষে এলে তৃণমূল খতম হয়ে যাবে। এরসঙ্গেই এই অডিও ক্লিপে মুকুলবাবুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “উনি (ম্যাথু) বলেছেন হংকং থেকে সেই ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে। সে নয় আমি লোকজন জোগাড় করে হংকং পাঠানোর ব্যবস্থা করলাম। কিন্তু ওঁকে কীভাবে বিশ্বাস করব?”
এরপর আলোচনা হয় ফুটেজের দাম নিয়েও। কৈলাস প্রশ্ন করেন মুকুলকে, ‘কত টাকা লাগবে?” মুকুলের উত্তর, “দু’কোটি। ৫০ লক্ষ অ্যাডভান্স। বাকিটা কুড়ি দিন পর।” এরপরই মুকুলবাবু বলেন, “এরকম অনেক লোক আমার পরিচিত আছেন যাঁরা ঘর-বাড়ি বেচে তৃণমূলকে শেষ করার জন্য টাকা জোগাড় করবে। কিন্তু আমি কীভাবে ওঁকে (ম্যাথুকে) বিশ্বাস করব?” মুকুল এরপর বলেন, “আমি একবার ম্যাথুকে আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলব। আপনি সিগন্যাল দিলেই আমি অ্যাকশন নেব।” কৈলাস এরপর জানিয়ে দেন, “এই জুয়া খেলতেই হবে।” উত্তরে মুকুল বলেন, “জুয়া খেলার জন্য তৈরি আছি। কিন্তু একবার আপনার সঙ্গে কথা হওয়া দরকার।”
Be the first to comment