আপাতত স্বস্তিতে মুকুল রায় ৷ সরশুনা আর্থিক প্রতারণা মামলায় মুকুল রায়ের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করলো হাইকোর্ট ৷ তবে বিজেপি এই নেতাকে তদন্তে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি শহিদুল্লাহ মুন্সি ও শুভাশিস দাশগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানায়, তদন্তের স্বার্থে এই মামলার তদন্তকারী অফিসারের যদি মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয়, তবে সেক্ষেত্রে বিজেপি নেতাকে সাহায্য করতে হবে ৷ এজন্য মুকুল রায়ের কাছে তদন্তকারী অফিসার ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ পাঠাবেন ৷ আর নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুকুল রায়কে তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে হবে ৷
শুক্রবার মামলাটির শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফে সরকারি কৌঁসুলি শ্বাশত গোপাল মুখার্জি বলেন, এটা একটি অর্থনৈতিক জালিয়াতির বিষয় ৷ ফলে মামলাকারীকে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হোক ৷ অন্যদিকে মুকুল রায়ের তরফে আইনজীবী সন্দীপন গাঙ্গুলি বলেন, আমার মক্কেলকে কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি ৷ ফলে জালিয়াতির প্রশ্নই উঠছে না ৷ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরই ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুকুল রায়ের গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর ৷
প্রসঙ্গত, ২১ অগাস্ট প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বাবান ঘোষকে ৷ সেই প্রতারণা মামলার ক্ষেত্রে সরশুনা থানায় মুকুল রায়ের নামেও অভিযোগ দায়ের হয় ৷ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ধৃত বাবান মুকুল রায়কে দেখিয়েই এক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন ৷ ওই ব্যক্তিকে রেলের একটি প্রকল্পের ইনচার্জ করার প্রতিশ্রতি দিয়ে দফায় দফায় তাঁর থেকে কয়েক লাখ টাকা নেন বাবান ৷ বাবান ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান মুকুল রায় ৷
Be the first to comment