বিজেপিতে পদোন্নতি হল মুকুল রায়ের। শনিবার প্রকাশিত হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপির নতুন পদাধিকারীদের তালিকা। তাতে সহ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুলকে।
তবে মুকুল রায় ছাড়াও সেখানে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আরও এক নেতা অনুপম হাজরার। অনুপমকে সর্বভারতীয় সম্পাদক করা হয়েছে। অধ্যাপক অনুপমকে সর্বভারতীয় সম্পাদক করার ফলে একদিকে যেমন যুব সম্প্রদায়ের প্রতি বার্তা দেওয়া হলো তেমনই তপশিলী সম্প্রদায়ের ভোট টানার চেষ্টা করা হলো বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা। এছাড়াও নাম রয়েছে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তেরও। জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে তাঁকে।
শনিবার প্রকাশিত তালিকায় মুকুলের সঙ্গে সহ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন, ছত্তিসগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং, রাজস্থানের প্রাপ্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, ওড়িশার জয় পান্ডা।
এতদিন পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মুকুল। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই মুকুলের পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি অব্যাহত। সম্প্রতি বিজেপির নবগঠিত রাজ্য কমিটিতে মুকুলের ঠাঁই হয়নি। এর পরই বিদ্রোহ করেন মুকুল। দিল্লিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছেড়ে কলকাতা ফিরে আসেন। তারপরই মুকুলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এমনকী মাঝে মুকুলকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলেও শোনা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে সাংগঠনিক পদ দিল বিজেপির। বাস্তবিক নাড্ডার টিমে বাংলার এই নেতাদের বড় পদ পাওয়া মানেই অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনে যে এটা হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
সামনে ২০২১, নির্বাচনের আগে ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত শাহ- নাড্ডারা। বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলার এই নেতাদের সর্ব ভারতীয় পদ দিয়ে অনেকটা বুস্ট আপ করার চেষ্টা করা হল। মুকুল রায় যে রাজ্যের নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তৃণমূলে থাকার সময় সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায় নির্বাচনী রণনীতি তৈরি করতেন। সাহায্য করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখন তিনি বিজেপিতে। তাই বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের যে স্বপ্ন বিজেপি দেখছে তাতে মুকুল রায়কে চাণক্য হিসাবে দেখতে প্রস্তুত তাঁরা। তাই টিম নাড্ডায় বাড়তি গুরুত্ব পেলেন বাংলার নেতারা।
Be the first to comment