মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাল মারা গেলে’ তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা হচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই প্রসঙ্গে মুকুলকে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নিশানা করে তিনি বলেন, উনি কি হাত গুণতে জানেন? জানেন না তো। মমতা ব্যানার্জি যদি কাল মারা যায়, তাহলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবে তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। এটা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানেন কি? তবে এখানেই থেমে না থেকে মুকুলের আরও দাবি, মমতা ব্যানার্জি যাতে আর না জিততে পারে তার জন্য কত লোক তন্ত্র-মন্ত্র করছে সেটা কি জ্যোতিপ্রিয় জানেন?
পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলকে সার্কাস পার্টি বলেও কটাক্ষ করেন মুকুল। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা কণিষ্ক পাণ্ডাকে এদিন দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগের কারণে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তাচ্ছিল্যের সুর শোনা যায় মুকুলের গলায়। বলেন, দলই নেই আবার দলবিরোধী কাজ।
উল্লেখ্য, রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে বড় ঘোষণা করে বিজেপি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করে বিজেপি নেতৃত্ব। ‘৭৫ লক্ষ বেকার যুবকের কাছে গিয়ে তাদের চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড দেওয়া হবে। বেকারদের নাম-ঠিকানা লিখে আনা হবে’। জানিয়েছেন রাজ্যের যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। রবিবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবকরা চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ডে নিজেদের নাম নথিবদ্ধ করাতে পারে বলে জানিয়েছে বিজেপি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় দাবি করেছেন, বাংলায় এই মুহূর্তে ১৮ শতাংশ বেকারত্ব। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বেকার যুবকদের চপ ভাজতে। সিঙ্গুরে টাটার বিরুদ্ধে আন্দোলন তৃণমূলের অন্যতম বড় ভুল ছিল বলে এদিনও দাবি করেছেন মুকুলবাবু। তবে কিছুটা সাবধানী কায়দায় তিনি বলেন, ‘আমরা তো বলতে পারি না একেবারে ৭৫ লক্ষ যুবকদের চাকরি দেব। তবে এটা বলতে পারি, আমরা তাঁদের অবহিত করছি। আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকব। চাকরি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করব বেকারদের।
Be the first to comment