রাজ্যস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেই বৈঠকে নেই দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। শুধু মুকুল নন, বৈঠকে নেই সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। তবে সবথেকে বেশি সেইসব ছাপিয়ে মুকুলের অনুপস্থিতিই বেশি নজর পড়েছে রাজনৈতিক মহলের।
সূত্রের খবর, স্ত্রী’র শারীরিক অবস্থার কারণ দর্শিয়ে বৈঠকে থাকছেন না বলে জানিয়েছেন মুকুল। যদিও মুকুল অনুগামীদের একাংশের বক্তব্য, সদ্য করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। তাই সশরীরের হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে বৈঠকে যোগ দিলে ঝুঁকি থেকে যেত। সেজন্য বৈঠকে যাননি।
কোনও ব্যাখ্যাতেই অবশ্য সন্তুষ্ট নন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বিধানসভা ভোটের আগেই থেকেই দিলীপ ও মুকুলের মধ্যে ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরও মুকুলের সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি। জয়ের পরও খুব একটা দেখা যায়নি মুকুলকে বরং বিধায়ক হিসেবে প্রথমবার বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। উসকে দিয়েছিলেন জল্পনা।
তবে দিলীপের সঙ্গে মুকুলের ‘দূরত্ব’ আরও বেড়েছে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের স্ত্রী হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর থেকে। সেইসময় নাকি কোনও বিজেপি নেতা দেখা করতে আসেননি বা খোঁজ নেননি বলে ঘনিষ্ঠ মহলে অনুযোগ করেছিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু। তারইমধ্যে পুুরনো সহকর্মী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল-জায়াকে হাসপাতালে দেখতে যান। সেইসময় মুকুল না থাকলেও ছিলেন শুভ্রাংশু। তিনি রীতিমতো আপ্লুত হন। অভিষেক বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই হাসপাতালে আসেন দিলীপ। তা নিয়ে মুকুল দাবি করেন, দিলীপ আসার বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর ছিল না। তার পাল্টা দেন দিলীপও। সবমিলিয়ে দিলীপের সঙ্গে সম্পর্কের ‘শৈত্যের’ কারণেই মুকুল গরহাজির আছেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
Be the first to comment