বিধানসভায় শপথ নিতে এলেও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি৷ বরং বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, যা বলার সবাইকে ডেকে বলবেন ৷ আর এর পরেই মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে ৷
চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অবশ্য নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মুকুল ৷ ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘বাংলায় গণতন্ত্র ফেরাতে বিজেপি-র সৈনিক হিসেবে আমার লড়াই চলবে ৷ সবাইকে আমার অনুরোধ, এ নিয়ে কোনও জল্পনা বা সাজানো তথ্য ছড়াবেন না ৷ আমি দৃঢ় ভাবেই নিজের রাজনৈতিক পথে অবস্থান করছি ৷’
এবার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মুকুল রায়৷ অভিজ্ঞতার নিরিখে বিরোধী দলনেতা হওয়ার অন্যতমও দাবিদারও তিনি ৷ কিন্তু বিজেপি-র হতাশাজনক ফলের পর শুক্রবার তাঁর নিষ্পৃহ মনোভাব থেকেই জল্পনার সূত্রপাত হয় ৷ বিধানসভায় শপথ নিতে এসে তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সির সঙ্গেও কথা বলেন মুকুল ৷ সবমিলিয়ে ফের তাঁর সঙ্গে শাসক দলের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হচ্ছে কি না, তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়ে যায় ৷ তবে এমন আলোচনা এর আগেও অবশ্য হয়েছে ৷ তবে মুকুল রায় নিজেই ট্যুইট করে সব জল্পনার অবসান ঘটালেন ৷
Be the first to comment