সুস্মিতা দেবের পথে কি মুকুল সাংমা? মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবদল ঘিরে জল্পনা

Spread the love

রাজ্যসভার উপনির্বাচনের জন্য বিধানসভায় মনোনয়ন জমা দিতে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব। শুধু ত্রিপুরা বা অসম নয়, এই মুহূর্তে মমতার দলের লক্ষ্য উত্তর-পূর্ব ভারতের সংগঠনের ভিত মজবুত করা । আর সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে তৃণমূল।

এবার বড়সড় ভাঙন ধরতে পারে মেঘালয়ের কংগ্রেস সংগঠনেও। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা যোগ দিতে পারেন ঘাসফুল শিবিরে। আর তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তৃণমূলের জন্য উত্তর-পূর্বের সংগঠনের ভিত মজবুত করার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

তৃণমূল সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের গোড়ার দিকেই রাজ্যে এসেছিলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। সে সময় তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একপ্রস্থ কথা হয়েছে। যদিও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস অথবা মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেউই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু মুখ খোলেননি। তবে জানা যাচ্ছে, মেঘালয়ের এই অভিজ্ঞ নেতাকে তৃণমূলে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মেঘালয়ের রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নাম এই মুকুল সাংমা। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সে রাজ্যের কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে অনেকটাই কোণঠাসা তিনি। সম্প্রতি কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গেও তাঁর একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সবথেকে প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে এড়িয়ে সাংসদ ভিন্সেন্ট এইচ পালাকে রাজ্য সভাপতি করায় দলের প্রতি যথেষ্টই ক্ষুব্ধ তিনি। আর তাই এই অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতার ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল তাঁকে নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছে বলে খবর।

এদিন এই বিষয় নিয়ে উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ের সত্য-মিথ্যা নিয়ে কোনও মতামত আমি দেব না। সাংগঠনিকভাবে এই বিষয়গুলি দেখছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়, তার খবর অবশ্যই আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকই দেবেন।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*