বাবুলকে নিগ্রহ কান্ডে বহিরাগতরা জড়িত; রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানালেন মুকুল রায়

Spread the love

বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয়, বহিরাগতরাই জড়িত, শুক্রবার এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে সঙ্গে নিয়ে এদিন রাজ্যপালের কাছে যান মুকুল। তারপর রাজভবন থকে বেরিয়ে মুকুল বলেন, কাল উনি যে সাহস দেখিয়েছেন রাজ্যপাল ও আচার্য হিসেবে, এটা বড় ব্যাপার। কাল রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন অথচ সিপি নেই, ডিজি নেই। শুধুমাত্র ছাত্র ছিল না, বহিরাগত ছিল। বাবুলকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। পশ্চিম বাংলায় যে অরাজক অবস্থা চলছে, সব তথ্য রাজ্যপালকে দিয়েছি।

পাশাপাশি এদিন মুকুল রায় প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে পুলিশ স্টেট চলছে ৷ বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি (অনুব্রত মণ্ডল) জেলার এসপিকে চাকরে পরিণত করেছে ৷ বীরভূম থেকে বিজেপির নির্দোষ কার্যকর্তাকে গ্রেফতার করছে পুলিশ ৷ কিন্তু এদিকে সারা রাজ্যেই অভিযুক্তরা ঘুরে বেরাচ্ছে ৷ মুকুল রায় এদিন রাজ্যপালকে অভিযুক্তদের তালিকা দিয়েছেন। মুকুলের বক্তব্য, পুলিশ সাধারণ জনতার উপর তৃণমূলের নির্দেশে অত্যাচার শুরু করেছে ৷ কিন্তু আর তো ১৪ মাস ৷ তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আর ফিরছে না ৷ পুলিশকে বলবো, ঘাড়ের কাছে ‘সত্যমেব জয়তে’ লেখা রয়েছে ৷ নিরপেক্ষ আচরণ করুন ৷

মুকুল আরও বলেন, বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতরা প্রবেশ করেছিলো। দেবাঞ্জন চ্যাটার্জি নামে এক যুবক মন্ত্রীকে মেরেছে ৷ সংবাদমাধ্যমে ছবিও বেরিয়েছে ৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ নন ৷ উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে এর জবাব দিতে হবে। তিনি পুলিশ ডাকেননি, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহিরাগত ঢুকলো কী করে? মুকুল বলেন, যদি এবিভিবি-এর কোনও সদস্য বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙচূরে যুক্ত থাকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*