সাইক্লোন নিসর্গ প্রাণ নিল চার জনের, অল্পের জন্য বাঁচলো বানিজ্যনগরী

Spread the love

বরাতজোরে বেঁচে গেল বানিজ্যনগরী। ‌সাইক্লোন নিসর্গের জেরে বহু গাছ ভাঙল, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেল। তবে আমফানের মতো ভয়াল প্রাণঘাতী হল না নিসর্গ সাইক্লোন।

ইন্ডিয়ান মেটরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের উপকূলে বেলা সাড়ে ১২টা আছড়ে পড়তে শুরু করে নিসর্গ। দু’ঘণ্টার মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এই সময়ে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১২০ কিলোমিটার। এর সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি। ফলে বহু বাড়ির চাল উড়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু কাঁচা বাড়ি। বদলাতে হয়েছে ট্রেন-বিমানের সূচি। তবে খুব বড় কোনও ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে মহারাষ্ট্র ,গুজরাট দুই রাজ্যই। সর্বশেষ পাওয়া খবরে, মহারাষ্ট্রে সাইক্লোনে মৃতের সংখ্যা চার।

বিদ্যুতের খুঁটি গায়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আলিবাগ অঞ্চলের ৫৮ বছর বয়েসি এক বৃদ্ধ দশরথ বাবুর। মাঞ্জবি অনন্ত নাভালে নামের এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধার বাাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে বাহাগাও অঞ্চলে। হাভেলি তেসিল নামক অঞ্চলে মৃত্যু হয়েছে প্রকাশ মোকার বলে এক ব্যক্তির। বাড়ির উড়ে যাওয়া চাল রক্ষা করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। মৃত্যু হয়েছে এক ১০ বছরের কিশোরের।

মুম্বইয়ে বুধবার ঝড়ের বেগ ছিল ৯৫ কিলোমিটার। মুম্বই ও সংলগ্ন অঞ্চলে দিনভর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে বাঁচল মুম্বই? আইএমডি-র কথায় শেষ মুহূর্তে সামান্য উত্তর-পূর্বে বেঁকে গিয়েছে সাইক্লোনের চোখ। বিকেল চারটের মধ্যেই শক্তিক্ষয় হয়ে যায় সাইক্লোনের। বুধবার সন্ধেয় মুম্বইয়ে হাওয়ার বেগ ছিল ২৫ কিলোমিটার।

এনডিআরএফ থেকে এ দিন সাইক্লোন মোকাবিলায় ৪৩ টি দল নামানো হয়েছিল। তাঁদের তরফেও বলা হয়েছে, দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। জোরকদমে শুরু হয়েছে উপড়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটি সারানোর কাজ। চলছে গাছ সরানো।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*