বুধবার রাত থেকে আচমকাই ধর্মঘট শুরু করেছেন মুম্বইয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার গ্রাউন্ড স্টাফদের একাংশ। তাঁরা সকলেই চুক্তিভিত্তিক কর্মী। এর ফলে মুম্বই বিমান বন্দরে বিমানের ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। টুইট করে হতাশা ও বিরক্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীদের অনেকে।
আনন্দ শিবকুমারন নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, কেন আমি এই এয়ারলাইন্সে টিকিট বুক করলাম ভেবে পাচ্ছি না। কলকাতা-মুম্বই বিমান নির্ধারিত সময়ের তিন ঘন্টা পরেও ছাড়েনি। আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। কোনও স্টাফকেও দেখছি না। হঠাৎ শুনছি মুম্বইতে ধর্মঘট হয়েছে। প্লেনটা আদৌ ছাড়বে কিনা তা কি কেউ আমাকে বলতে পারে?
সুমন্ত দে নামে এক যাত্রী লিখেছেন, সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত। ধর্মঘটের জন্য যাত্রীরা বিমানবন্দরে আটকে আছেন! এয়ারলাইন্সে ধর্মঘট! তাও আবার আচমকা! খুবই উদ্বেগের বিষয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মুম্বই বিমান বন্দরে এয়ার ইন্ডিয়া এয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের সমর্থকরা এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন, যার ফলে কয়েকটি ফ্লাইট দেরিতে চলছে। আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। বিমান যাতে সময়ে চলে তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা হচ্ছে।
আরও কয়েকজন যাত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, তাঁদের বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা । এয়ার ইন্ডিয়া বহুদিন ধরে লোকসানে চলছে । ২০১৭ সালের এক হিসাবে দেখা যায়, ওই সংস্থার ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা । ঋণের পরিমাণ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ।
ওই বিমান সংস্থার মালিক এয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেড। তা একটি সরকারি সংস্থা । তারা দেশে ও বিদেশে ৯৪ টি স্থানে এয়ারবাস ও বোয়িং এয়ারক্রাফট চালায় । তার সদর দফতর দিল্লিতে । চারটি মহাদেশের বিভিন্ন দেশের ৬০ টি স্থানে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যায় ।
এয়ার ইন্ডিয়ার খরচ কমানোর জন্যই একসময় চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ শুরু হয়েছিল । কিন্তু পরে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মধ্যে নানা অসন্তোষ দানা বেঁধে ওঠে। তাঁরা বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন । দাবি আদায়ের জন্যই আচমকা মুম্বইয়ের মতো একটি ব্যস্ত বিমানবন্দরে তাঁরা ধর্মঘট করেছেন ।
যে বিমানসংস্থাটি বছরের পর বছর বিপুল পরিমাণ লোকসান করে চলেছে, সেখানে এই ধরনের ধর্মঘট বিশেষ ক্ষতিকারক বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা । কারণ এর ফলে বিমান সংস্থার প্রতি যাত্রীদের আস্থা কমবে । তাতে ক্ষতির বহর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
Be the first to comment