মজুত করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।ডিটোনেটর। এমন কী ব্যাটারিও। কিন্তু সংযোগটা ঠিক মতো হয়নি। এমনটাই জানাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। তাতেই কোনওক্রমে রক্ষা পেলেন আপ শালিমার-মুম্বই এক্সপ্রেসের কয়েকশো যাত্রী। খুশির ঈদে বানচাল হল বড় ধরণের নাশকতার ছক।
যে পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল তাতে বিস্ফোরণের তীব্রতা ঠিক কতটা হতে পারতো, ভেবে শিউরে উঠছেন মুম্বই পুলিশের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই সমস্ত বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেছে পুলিশের স্পেশাল ফোর্স। কী ভাবে ওই পরিমাণ বিস্ফোরক ট্রেনে তোলা হল তা নিয়েই এখন চিন্তিত গোয়েন্দারা। চলছে চিরুনি তল্লাশি।
মঙ্গলবার হাওড়ার শালিমার থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। আজ সকালে মুম্বই পৌঁছয়। ট্রেন খালি হয়ে যাওয়ার পর ইয়ার্ডে চলে যায় ট্রেনটি। সেখানে নিয়মমাফিক সাফাই করার সময়েই ওই বিস্ফোরক কর্তব্যরত সাফাই কর্মীদের নজরে আসে। খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে মুম্বই পুলিশের বম্ব-স্কোয়াডও।
ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরকগুলি দ্রুত নিষ্ক্রিয় করে বম্ব-স্কোয়াড। মুম্বই পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটাতেই ব্যাটারির সঙ্গে ডিটোনেটর যুক্ত করা ছিল। শুধু অভাব ছিল সংযোগের। আর তা না হওয়াতেই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেলেন দূরপাল্লার ওই ট্রেনের যাত্রীরা।
কীভাবে এই বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রেনে তোলা হল, তা নিয়ে চিন্তিত মুম্বই পুলিশের আধিকারিকরা।
Be the first to comment