আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের যে চার পৌরনিগমের নির্বাচন হওয়ার কথা সেখানকার বর্তমান করোনা পরিস্থিতি কেমন, তা রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ ২২ জানুয়ারি পৌরভোট হওয়ার কথা বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোলে ৷ এই ভোট সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ ৷
আদালতের এদিনের নির্দেশ, ওই সব এলাকায় করোনা পরিস্থিতি কী, কতজন আক্রান্ত, কতগুলি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে তা জানাতে হবে রাজ্যকে ৷ অন্যদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে এই অতিমারি পরিস্থিতিতে ভোট করার মতো পরিকাঠামো কি আদৌও কমিশনের আছে? মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার ৷
এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্যর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “করোনা পরিস্থিতির জন্য কয়েক বছর ধরে নির্বাচন করা যায়নি । আরও কয়েক মাস যদি পিছিয়ে যায় নির্বাচন তাতে আকাশ ভেঙে পড়বে না! মার্চ-এপ্রিলে ভোট করা হোক ।” এরপর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, “কমিশন চাইলে ভোট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে । ওই এলাকার করোনা পরিস্থিতি কি? কতজন সংক্রমিত? কত কনটেনমেন্ট জোন আছে? এই পরিস্থিতিতে ওই চারটি পৌরনিগমে ভোট করার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো আছে ?”
নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী বিষ্ণু সাহা আদালতে বলেন, “ওই চার এলাকায় পৌরভোটের জন্য নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কমিশন । রাজ্য এব্যাপারে সহযোগিতা করছে।” প্রধান বিচারপতি তখন জানতে চান, এব্যাপারে নির্বাচন কমিশন একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না? তাদের তো সেই ক্ষমতা আছে! কমিশনের আইনজীবী এব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য সময় দেওয়ার আর্জি জানান আদালতকে ৷ তারপরই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালেই কমিশনকে এই ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানতে হবে । ওইদিন ওই এলাকাগুলির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোরট জমা দিতে হবে রাজ্যকেও ৷
Be the first to comment