বকেয়া পুরভোটে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কমিশনের উপর সিদ্ধান্তের ভার হাইকোর্টের

Spread the love

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই কি হবে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট? এখনও নেওয়া হল না চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘাড়েই দিল হাইকোর্ট। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে, বাহিনী মামলা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা বিজেপির।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বীরভূমে পুরভোট। ১০৮টি পুরসভার ভোটেও অশান্তির আশঙ্কা বিরোধীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরজি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলাও রুজু হয়। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য পুলিশের উপরে আস্থা রাখার কথাই বলে রাজ্য সরকার। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখে হাইকোর্ট।

বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের তরফে জানানো হয় ১০৮টি পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে হলে তা কেন প্রয়োজন, আর না হলেই বা কেন প্রয়োজন নয়, তা জানাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। হাই কোর্টের তরফে আরও জানানো হয়েছে, রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হলে অশান্তির দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনারকেই। বাহিনী নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

উল্লেখ্য, এর আগে বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ির পুরভোটেও বাহিনীর আরজি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তবে সে সিদ্ধান্তও কমিশনের উপরেই ছেড়েছিল আদালত। যদিও কমিশনের সিদ্ধান্তে শেষমেশ রাজ্য পুলিশের নজরদারিতেই হয় ভোটাভুটি। অশান্তির অভিযোগে দ্বিতীয়বার ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*