রিগিং, ইভিএম ভাঙচুর৷ ছাপ্পা ভোট। বুথ জ্যাম। দরজা বন্ধ করে ভোট৷ গুলি, বোমা, লাঠি নিয়ে তেড়ে যাওয়া ৷ অভিযোগগুলো এমনই ৷ অভিযোগকারীর তালিকায় বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা৷ অপরদিকে শাসকদলের মন্তব্য, ভোট শান্তিপূর্ণ ৷ অবাধ, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে অবশ্যই৷ সংবাদমাধ্যম কাঠগড়ায়৷ তারা প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছে ভোটারদের ৷ রবিবারের সকাল থেকে শুরু হওয়া পুরভোটের হাল হকিকত অল্পকথায় এভাবেই বোধহয় ব্যাখ্যা করা যায় ৷ ১০৮টি পুরসভার ভোট। ১৬ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক। ৪৪ হাজার পুলিস। ৯ কোটির বেশি ভোটার। ১০ হাজারের বেশি বুথ। পরিসংখ্যানটা ঠিক এমনই৷ বিক্ষোভ, গন্ডগোল, হাতাহাতি হয়েছে বেশ কিছু এলাকায়৷ ভাটপাড়া, ব্যারাকপুর, ডালখোলা, সোনারপুর, বারাসত, কাঁথি, রিষড়া অভিযোগ এসেছে এমন নানা জায়গা থেকে।
লাঠি উঁচিয়ে পুলিসকে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে৷ পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি হয়েছে। কাদানে গ্যাসের শেল ফেটেছে৷ গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। হাতাহাতির জেরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা ভেঙেছে। আক্রান্ত হয়েছে সংবাদমাধ্যম৷ দিনের শেষে আহত হয়ে মাথা ফাটতে দেখা গিয়েছে ভোটারদের-রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ৷ রাজ্যের ১০৮ পুরসভার নির্বাচনকে ভোট লুঠের শামিল বলে তোপ দেগেছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ৷ কাঠগড়ায় তুলেছে শাসকদলকে ৷ অভিযোগ করেছে, গণতন্ত্রকে কলুষিত করেছে তৃণমূল সরকার ৷ ভয় পেয়ে ছাপ্পা ভোট করে নিজেদের পথ সুগম করার চেষ্টা করেছে তারা ৷ পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে তৃণমূল ৷ ছবি-সহ তুলে ধরেছে ভোটারদের উস্কানি দেওয়ার প্রমাণ ৷ নির্বাচন কমিশন যে কতটা নিরপেক্ষ সেকথা দাবি করে ঘাসফুলের মন্তব্য, অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে ৷ ১০৮টি পুরবোর্ডের মধ্যে গোটা কয়েক বুথে গন্ডগোলের খবর এসেছে৷ যা বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন ও বিরোধীদের চক্রান্ত ৷
Be the first to comment