বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হচ্ছে ১০৮টি পুরসভার ভোট গণনা। গণনাকে ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১০৭টি জায়গায় ভোট গণনা করা হবে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে গেলেও সতর্কতার ক্ষেজ্ঞে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। গণনা শেষে বিজয় মিছিল করা যাবে। কিন্তু পুলিস কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করবে না। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বিরোধীরা অবশ্য ভোট গণনাকে তেমন কোনও গুরুত্ব দিতে চাইছে না। বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, রবিবারের ভোট প্রহসন ছাড়া কিছুই হয়নি। সেই কারণেই গণনাকে গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। পাঁচ পুরনিগমের ভোটের ফল যা হয়েছে, ১০৮টি পুরসভার ভোটেও তার খুব একটা ব্যতিক্রম ঘটবে বলে মনে করছে না রাজনৈতিক মহল। ভোটের আগেই কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেশ কয়েকটি পুরসভার দখল নিয়ে ফেলেছে শাসকদল। দু’হাজারের উপর বেশি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০৩টি ওয়ার্ডে ভোট ছাড়াই জিতে গিয়েছেন শাসকদলের প্রার্থীরা। এই অবস্থায় বিরোধীরা বলছেন, শাসকদল একতরফা ভোট করেছে কমিশন এবং রাজ্য পুলিসের মদতে।
শাসকদলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার ভোটের পরই দাবি করেন, প্রায় ৯০ শতাংশ পুরসভা তাদেরই দখলে থাকবে। কারণ, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উপর আস্থা রেখেছে। বিধানসভা ভোট থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যত ভোট হয়েছে, তার সবগুলিতেই তা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই বলেই সন্ত্রাসের আজগুবি অভিযোগ করেছে তারা। বহু ওয়ার্ডে বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি, এজেন্ট বসাতে পারেনি। এর দায় তৃণমূলের নয়, এমনটাই মন্তব্য পার্থর।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বুধবার সর্বনিম্ন গণনা হবে দু’রাউন্ড, সর্বোচ্চ গণনা হবে ১৮ রাউন্ড পর্যন্ত। গণনাকেন্দ্রে প্রথম স্তরে থাকবে লাঠিধারী পুলিস থেকে কমব্যাট ফোর্স। দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে সংবাদমাধ্যমের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। তৃতীয় স্তরে মূল গণনার ব্যবস্থা থাকছে। এই বলয়ে রাজ্য সশস্ত্র পুলিসবাহিনী মোতায়েন থাকবে। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন প্রার্থী ও তাঁর পোলিং এজেন্ট। রিটার্নিং অফিসার ছাড়া গণনাকেন্দ্রে আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকী প্রার্থীরাও নন।
Be the first to comment