আগামী ডিসেম্বরে হতে পারে কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচন। রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে নয়া বছরের শুরুতেই ভোট হতে পারে। একটি মহল থেকে এমনই দাবি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সূত্রের খবর, পুরভোট চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠাতে চলেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। রাজ্যের প্রস্তাব মতো আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচন হতে পারে। গণনা হতে পারে ২২ ডিসেম্বর। অর্থাৎ বড়দিনের আগেই তিন পুরনিগমের ভোটপ্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলার লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বাকি যে পুরসভাগুলি আছে, সেগুলির ভোট নয়া বছরের জানুয়ারিতেই করা হতে পারে বলে ওই মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘পুরভোটের ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে আলোচনা হয়। এখন আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।’ সেই পুরভোটের সম্ভাবনা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, এতদিন পর সরকারের পুরভোট করানোর কথা মনে পড়ল? আড়াই বছর ধরে তো রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নির্বাচন করানো হয়নি। স্রেফ পুর প্রশাসক বসিয়ে নিজেদের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল রাজ্যের শাসক দল।
পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ভোট না হলেও পুর-নির্বাচন যে চলতি বছরেই হতে পারে, তা আগে থেকেই ইঙ্গিত মিলছিল। সম্প্রতি কলকাতা পুরনিগমের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রুখতে দোকান, বাজার, শপিং মল সর্বত্র মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সবাই যদি মাস্ক পরেন ও আরটিপিসিআর পরীক্ষা দিয়ে শানাক্তকরণের কাজ ঠিকমতো হয়, তাহলে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে যাবে। সংক্রমণ কম থাকলে খুব তাড়াতাড়ি ভোট করানো সম্ভব হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পুরভোট নিয়ে একাধিকবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
Be the first to comment