রাজ্যের ৩টি বিধানসভা উপনির্বাচনেই পরাজিত হয়েছে বিজেপি। আর তারপরেই রাজ্যে দলের খামতিগুলো দূর করার চেষ্টা শুরু করলো দল। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করল বিজেপি। রাজ্যে দলের জন্য নতুন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে, অন্যদিকে সাতটি জেলার দলীয় সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। রাজ্য়ে দলের নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম অভিজ্ঞ নেতা মুরলিধর রাওকে আনা হচ্ছে।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে তামিলনাড়ুর নির্বাচন পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য বিজেপির দক্ষিণের নেতাদের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আছেন দক্ষিণের অরবিন্দ মেনন। তিনি বাংলার দায়িত্ব পেয়ে ইতিমধ্যে বাংলা ভাষা রপ্ত করে ফেলেছেন। অরবিন্দ মেনন দায়িত্বে আসার পর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দায়িত্ব কমানো হয়েছিল। এবার মুরলিধর রাও আসার ফলে কৈলাস নির্ভরতা আরও কমিয়ে ফেলা হল বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
এদিকে, জেলায় জেলায় সাংগঠনিক পরিবর্তন করেছে বিজেপি। কয়েক জন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে দলের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল। সেজন্য শুক্রবার ৭ জেলা সভাপতিকে সরানো হলো। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, বসিরহাট, ২৪ পরগনা, ডায়মন্ড হারবার, হাওড়া গ্রামীণ এবং শ্রীরামপুর।
নব নির্বাচিত জেলা সভাপতিরা হলেন, কোচবিহারে মালতি রাভা,আলিপুরদুয়ারে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, জলপাইগুড়িতে বাপি গোস্বামী, শিলিগুড়িতে অভিজিত রায় চৌধুরি, দক্ষিণ দিনাজপুরে বিনয় বর্মণ, মালদায় গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল, মুর্শিদাবাদে (উত্তর) সুজিত দাস, বারাসতে শঙ্কর চ্যাটার্জি, বসিরহাটে তারক ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) হরেকৃষ্ণ দত্ত, ডায়মন্ড হারবারের উমেশ দাস , হাওড়ায় (শহর) সুরজিত সাহা, হাওড়ায় (গ্রামীণ) শিবসংকর বেজ ,তমলুকের নবারুণ নায়েক, কাঁথির অনুপ চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রামে সুখময় শতপথি, শ্রীরামপুরে শ্যামল বসু ,আরামবাগে বিমান ঘোষ ,বাঁকুড়ায় বিবেকানন্দ পাত্র , পুরুলিয়ায় বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, বর্ধমানে সন্দীপ নন্দী, কাটোয়ায় কৃষ্ণা ঘোষ ও বীরভূমের শ্যামাপদ মণ্ডল ।
বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন আধিকারিক তথা রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেন। দলীয় সূত্রে খবর, সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক পদেও পরিবর্তন করা হচ্ছে।
Be the first to comment