
রোজদিন ডেস্ক: শুক্রবারের পর শনিবার সকালেও নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধূলিয়ান মোড়ে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করছে বিএসএফ। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ জওয়ানরা। পরিস্থিতি সামলাতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। গুলিতে আহত ২। তাদের মধ্যে একজন নাবালক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর শনিবার সকালে অবস্থা স্বাভাবিক হয়। এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএসএফ মোতায়েনই ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানায় পুলিশ। তবে তা ক্ষণিকের! হঠাৎই সকাল ১০টা নাগাদ নতুন করে আবার উত্তেজনার খবর আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, উত্তেজিত জনতা ধুলিয়ান পুরসভা এলাকায় ভাঙচুর শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ জামাল। এদিকে বিএসএফের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তাতে আহত হয়েছেন মুদ্দিন শেখ নামের এক যুবক। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। গুলিতে এক হাসান শেখ নামের এক নাবালকও আহত বলে খবর। তাদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে সরকারিভাবে গুলি চালানোর কোনও খবর এখনও স্বীকার করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বা বিএসএফের কর্তারা অফিসিয়ালি এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
ভাঙচুর চালানো হয়েছে সামশেরগঞ্জের বিধায়ক মণিরুল ইসলামের দাদা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কাওসার আলির বাড়িতে। নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বিএসএফের (সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার) ডিআইজি ও জনসংযোগ অফিসার নীলোৎপল কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, শুক্রবার ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ কর্মসূচির মাঝেই জঙ্গিপুরের কিছু এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে জেলা প্রশাসনের তরফে বিএসএফের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত সাহায্য করেছে বিএসএফ।
অন্যদিকে সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জলঙ্গিতে মিছিল বের করে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। ওই মিছিলের শেষের দিকে থাকা কয়েকজন যুবক আচমকা বিডিও অফিস চত্বরে ঢুকে গিয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। যদিও ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
Be the first to comment