উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, স্থানীয় বিধায়ককে ফোন করে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের রঘুনাথগঞ্জ। জনতা ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গেলে বাধা পুলিশের। তখনই জনতা-পুলিশের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে! জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। চলে ইটবৃষ্টি। পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসনকে ফোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধায়ককে অতিসত্ত্বর ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবরাই স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।
ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ধুন্ধুমার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে হওয়া মিছিল ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় রঘুনাথগঞ্জের ওমরপুর রোডে। মঙ্গলবার এই ঝামেলার কারণে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ও লালগোলা রাজ্য সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত করে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। আগুন জ্বালানোয় বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশ বাধা দিতেই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। আন্দোলনকারী জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। তুমুল ঝামেলার কারণে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক, স্থানীয় বাসিন্দারা ছোটাছুটি শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি উল্টে দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতার মারমুখী চেহারা দেখে পিছু হঠতে হয়েছে পুলিশকেও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এরপরই, বিধায়ক জাকির হোসেনকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জাকিরকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি। বিধায়ক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে বলেছেন তিনি। আমি স্থানীয়দের শান্তি বজায় রাখতে বলছি। আমি কলকাতায় আছি। বুধবার সকালে এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠকে বসব।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*