অপারেশন টেবিলে শুয়ে মন দিয়ে গিটার বাজাতেই ব্যস্ত মুসা

Spread the love

মাথার খুলি তখনও খোলা। মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার করছেন চিকিৎসকেরা। চোখেমুখে তাঁদের উদ্বিগ্ন ভাব। তবে রোগী কিন্তু একদম শান্ত। অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে শুয়ে বরং মন দিয়ে গিটার বাজাতেই ব্যস্ত তিনি।

চমকাবেন না। ঠিক এমনটাই হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে ভিডিও-ও। আর মুহূর্তেই তা ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুসা মানজিনি। পেশায় মিউজিশিয়ান দক্ষিণ আফ্রিকার মুসার শরীরে বাসা বেঁধে ছিল মারণ রোগ। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। সেই মতোই উন্নত পরিকাঠামোয় এবং ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছিলেন মানজিনির মস্তিষ্কের জটিল অপারেশন। ডারবানের Inkosi Albert Luthuli Central Hospital –এ এই মাসেই অপারেশন হয়েছে মুসার।

হাসপাতালের নিউরোসার্জেন Dr. Rohen Harrichandparsadজানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার সফর হয়েছে। তবে বাকিরা চমকালেও অবাক হননি Dr. Rohen Harrichandparsad । তিনি বলেন, এই ধরণের ঘটনা নতুন নয়। বিশ্বের বহু দেশের এর আগেও এমনটা হয়েছে। অপারেশন চলাকালীনই বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছেন পেশায় মিউজিশিয়ান রোগীরা। বলেছেন, “এটা মুসার জন্যই প্রয়োজনীয় ছিল। ও ঠিকভাবে বাজাতে পারছে কিনা সেটা দেখার জন্যই অপারেশন টেবিলে শুয়ে থাকা মুসার হাতে গিটার তুলে দেওয়া হয়েছিল।“ আমরা জানি, অনেক সময়ই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর শরীরে নানা রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সম্ভবত মানজিনির শরীরে এমন কিছু ঘটেছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য তাঁর হাতে গিটার তুলে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।

ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে অপারেশন টেবিলে শুয়ে মুসার গিটার বাজানোর ভিডিও। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অপারেশন চলেছে দীর্ঘ সময় ধরে। প্রায় শেষের দিকে মুসার হাতে তুলে দেওয়া হয় গিটার। অপারেশন টিমে ছিলেন নিউরোসার্জেন Dr. Basil Enicker। Enicker জানিয়েছেন, মুসার মস্তিষ্ক থেকে টিউমারের নব্বই শতাংশই বাদ দেওয়া গিয়েছে। এখন সুস্থই রয়েছে তিনি।

এর আগে ২০১৫ সালে অপারেশন চলাকালীন অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে শুয়েই স্যাক্সাফোন বাজিয়েছিলেন স্পেনের এক মিউজিশিয়ান। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসেও ঘটে একই ধরণের ঘটনা। মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার চলাকালীন গান গেয়েছিলেন এক অপেরা সিঙ্গার।

দেখুন সেই ভিডিও-

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*