
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা : জোড়া ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। শুক্রবার প্রকৃতির তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককেরও কিছু অংশ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজারেরও বেশি, আহতর সংখ্যা অন্তত ১৬৭০ ৷ প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চারিদিক যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভারতের পড়শি দেশ মায়ানমারে বর্তমানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মায়ানমারে ত্রাণসামগ্রী পাঠাচ্ছে ভারত।
সূত্রের খবর, শনিবার (আজ) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মায়ানমারে একটি সামরিক বিমানে প্রায় ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠাবে ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৩০জে (C130J) বিমানটি হিন্ডন বিমান ঘাঁটি থেকে মায়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এদেশ থেকে পাঠানো ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, খাবার, পানীয় জল, সৌরবিদ্যুৎ চালিত বাতি, জেনারেটর সেট এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ।
dispatches first tranche of urgent humanitarian aid for the people of Myanmar. @IAF_MCC C-130 is carrying blankets, tarpaulin, hygiene kits, sleeping bags, solar lamps, food packets and kitchen set. A search & rescue team and medical team is also accompanying this flight.… https://t.co/ONzOsHFSp2 pic.twitter.com/0p3OtTIlj5
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) March 29, 2025
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রথম কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে। প্রথমটির উৎস মায়ানমারের বর্মার ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। তারপর আরও পাঁচটি ভূমিকম্প হয়েছে মায়ানমারে। চলেছে আফটার শক। তার জেরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে মায়ানমারের বিস্তৃত এলাকার বাড়িঘর, স্মৃতিসৌধ, এমনকী, মসজিদও। উপড়ে গিয়েছে শয়ে শয়ে গাছ। ফাটল ধরেছে রাস্তায়, সেতুতে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, মোবাইলের টাওয়ার। বহু এলাকা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। এদিকে, থাইল্যান্ডের রাজধানীতে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানেও ভেঙে পড়েছে আকাশছোঁয়া বহুতল। গতকাল ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। কেঁপেছে বাংলাদেশও। কলকাতা-সহ বাংলার একাধিক জেলায় মৃদু কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি পর্যন্তও।
এরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে করে জানিয়েছিলেন, ভারত সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত। তিনি মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের পরের পরিস্থিতি নিয়ে যে যথেষ্ঠ উদ্বিগ্ন, তাও জানান। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেন তিনি। মোদি জানান, বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।
Be the first to comment