প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে রাজ্যে। কলকাতার এক তরুণ ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পরেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর মা নবান্নের উচ্চপদস্থ আমলা। আর তাই নবান্নে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশন। ওই আমলার ঘরও সিল করে দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। প্রথমে প্রতিটি তলা ডিসইনফেকটিং করে তারপর ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। ১৪ তলা থেকে শুরু হয়েছে এই স্যানিটাইজেশনের কাজ। চারটে দল আলাদা আলাদা করে এই স্যানিটাইজেশনের কাজ করছে। নবান্নের পাঁচতলায় ৫১১ নম্বর রুমে বসতেন করোনা আক্রান্ত তরুণের মা। ওই আমলার ঘরও সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ওই আমলার ঘর সিল করে দেওয়ার পাশাপাশি উনি নবান্নে এসে কোন কোন আধিকারিকের ঘরে গিয়েছিলেন তাও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নবান্নের পাশাপাশি মহাকরণেও বসেন ওই আমলা। তিনি শেষ কবে মহাকরণে গিয়েছিলেন এবং গিয়ে থাকলে কোন কোন ঘরে গিয়েছিলেন তাও সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও নিরাপত্তাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু কর্মস্থল নয়, বাইপাসের ধারের যে আবাসনে করোনা আক্রান্ত তরুণ ও তাঁর বাবা-মা থাকতেন সেখানেও স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। লন্ডন থেকে ফেরার পরে আবাসনে কার কার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, সেটাও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণের বাবা, মা ও গাড়ির চালককেও হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। সকলেই কোয়ারেন্টাইনে। ওই তরুণ আর কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তার খোঁজ চলছে। জানা গিয়েছে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছেন ওই তরুণ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিসেস (নাইসেড)-এ তরুণের লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে সেই রিপোর্ট আসে। সেই রিপোর্টে জানা যায় তা পজিটিভ।
ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পরেই বেলেঘাটা আইডিতে তাঁকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে ওই তরুণের শরীরে কোভিড-১৯ অসুখের কোনও উপসর্গই ছিল না। বিদেশ থেকে আসার পরে নিয়মমাফিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। আর তাতেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়। ইংল্যান্ড থেকে আসার পরে ওই তরুণ বাবা, মা ছাড়াও গাড়ির চালকের সংস্পর্শে আসেন। সেই কারণে ওই তিনজনকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এখন খোঁজ করা হচ্ছে কলকাতায় আসার পরে ওই তরুণ আরও কারও সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা। সেটা জানা গেলে তাদেরও কোয়ারেন্টাইন করা হবে।
Be the first to comment