সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জরুরি নয় এমন জিনিসপত্র হোম ডেলিভারি করা যাবে। মঙ্গলবার সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে দিল নবান্ন।
রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন জিনিসও বিক্রি করা যাবে। তবে তা হোম ডেলিভারি করতে হবে। অর্থাৎ, দোকান খুলে সেইসব জিনিস বিক্রি করা যাবে না। অনলাইন পদ্ধতিতে অর্ডার দিলে ইকমার্স প্ল্যাটফর্মগুলি গ্রাহকের বাড়িতে জিনিস পৌঁছে দিতে পারবে।
এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কিছুতেই অনুমোদন দেওয়া হবে। অর্থাৎ যদি কেউ অনলাইনে রেফ্রিজারেটর বা ওয়াশিংমেশিন অর্ডার করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ছোট একটি গাড়িতে করে তা গ্রাহকের বাড়িতে পাঠাতে হবে। নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তাতে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে যে বা যাঁরা গ্রাহকের বাড়িতে জিনিস পৌছতে যাবেন সেই ডেলিভারি এক্সিকিউটিভের মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
দ্বিতীয় পর্বের লকডাউনে ২০ এপ্রিল থেকে কিছু ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে কেন্দ্রের তরফে ইকমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিকে জরুরি নয় এমন পণ্য বিক্রিতে ছাড় দেওয়া হয়। কিন্ত পরে আবার.তা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গতকালও অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থাগুলি কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানায়, যাতে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য অনলাইন বিক্রিতে ছাড় দেয় সরকার। কেন্দ্র এখনও সে ব্যাপারে সবুজ সংকেত না দিলেও অনুমোদন দিয়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
Be the first to comment