বাংলা থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। ইতিমধ্যে আজমেঢ় ও কেরলা থেকে দুটি ট্রেনে করে আড়াই হাজার শ্রমিককে ফেরানো হয়েছে। আরও আটটি ট্রেনের ব্যবস্থা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। ওই সব ট্রেনের একটি খসড়া শিডিউল ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
নবান্নের ওই খসড়া থেকে জানা গিয়েছে, আটটি ট্রেন ছাড়বে যথাক্রমে চণ্ডীগড়, জলন্ধর, বেঙ্গালুরু, ভেলোর ও হায়দরাবাদ স্টেশন থেকে। এই আটটি স্পেশাল ট্রেন ৯ মে, ১০ মে এবং ১১ মে রওনা হবে।
৯ মে বেঙ্গালুরু থেকে তিনটি এবং হায়দরাবাদ থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে। বেঙ্গালুরু থেকে প্রথম যে ট্রেনটি ছাড়বে তা এসে পৌঁছবে বাঁকুড়ায়। ওই ট্রেনে করে বাঁকুড়ার ১৩৪৭ জন এবং ঝাড়গ্রামের ৫২৭ জনকে আনা হচ্ছে।
বেঙ্গালুরু থেকে দ্বিতীয় যে ট্রেনটি আসছে সেটি উত্তরবঙ্গ যাবে। সেটি পৌঁছবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। ওই ট্রেনে করে কোচবিহারের ৩১১৭ জন, আলিপুরদুয়ারের ১৫১ জন, জলপাইগুড়ির ৩৯১ জন, কালিম্পংয়ের ৩ জন এবং দার্জিলিংয়ের ১১৭ জনকে ফেরানো হবে।
বেঙ্গালুরু থেকে তৃতীয় যে ট্রেনটি ছাড়বে সেটি পৌঁছবে পুরুলিয়া টাউনে। ওই ট্রেনে পুরুলিয়ার ১২৪৪ জন, বীরভূমের ৫৯০ জন, পশ্চিম বর্ধমানের ১৯৬ জনকে ফেরানো হবে। ওই দিনই হায়দরাবাদ থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে। ওই ট্রেনে করে মূলত মালদহের লোকেদের ফেরানোর হবে। কত জনকে ওই ট্রেনে ফেরানো হবে সেই সংখ্যাটা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
সরকারের খসড়া অনুযায়ী ১০ মে একটি বিশেষ ট্রেন ছাড়বে জলন্ধর থেকে। ওই ট্রেন ১১ মে এসে পৌঁছবে ব্যান্ডেলে। হুগলি জেলার ১০৬৪ জন এবং নদিয়ার আড়াইশ জনকে ফেরানো হবে ওই ট্রেনে।
পরের দিন ১১ মে তিনটে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে নবান্ন। এর মধ্যে দু’টি ছাড়বে ভেলোর থেকে। শুধু পরিযায়ী শ্রমিক নয়, চিকিৎসা করাতে গিয়ে যাঁরা আটকে পড়েছেন তাঁদের ওই ট্রেনে ফেরানো হবে। ভেলোর থেকে ১১ তারিখ একটি ট্রেন ছেড়ে ১২ তারিখ হাওড়ায় পৌঁছবে। ওই ট্রেনে করে নদিয়ার ২২৩ জন, উত্তর চব্বিশ পরগনার ৪৭২ জন, হাওড়ার ১৯৯ জন এবং পশ্চিম বর্ধমানের ৩০৬ জনকে ফেরানো হবে।
ভেলোর থেকে অপর একটি ট্রেন ওই দিন তথা ১১ মে ছেড়ে ১২ মে খড়্গপুরে এসে পৌঁছবে। ওই ট্রেনে করে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩৩৫ জন, পূর্ব মেদিনীপুরের ২৪১ জন, কলকাতার ৯৭ জন, হুগলির ২০০ জন, পূর্ব বর্ধমানের ১০২ জন এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ২৪৩ জনকে ফেরানো হতে পারে।
এ ছাড়া ১১ মে চন্ডীগড় থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে ১২ তারিখ দুর্গাপুরে এসে পৌঁছবে। ওই ট্রেনে করে বাঁকুড়ার ৯২৫ জন, পুরুলিয়ার ৭৭ জন, বীরভূমের ৩৬ জন এবং পশ্চিম বর্ধমানের ২৬১ জনকে ফেরানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
Be the first to comment