আমফানে রাজ্যের ১লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে, কেন্দ্রকে হিসেব দিলো নবান্ন

Spread the love

আমফানে রাজ্যের ১লক্ষ ২হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে হিসেব দিল নবান্ন। শনিবার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এই রিপোর্ট দিয়েছেন। নবান্নের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমফান ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যাই ২৮ লক্ষ। কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা।

এছাড়াও, মৎস্যজীবীদের প্রায় ৮ হাজার মাছ ধরার নৌকো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে তাঁদের ১ লাখ ৪৮ হাজার কুঁড়ে ঘর। ওই ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার ঘরে বৈঠকে ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয় দুপক্ষের। এদিনই সাত সদস্যের কেন্দ্রীয় দলটি দিল্লি ফিরে যাচ্ছে। রবিবার কেন্দ্রের হাতে রাজ্যের আমফান সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা।

আমফান পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আকাশপথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই সময় তিনি রাজ্যের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করেন। শুরু থেকেই নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, আমফানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের। কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসে।

শুক্রবার আমফান বিধ্বস্ত দুই ২৪ পরগনা পরিদর্শনে যায় তাঁরা । ২টি দলে ভাগ হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শন করেন তাঁরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাথরপ্রতিমা ও নামখানা পরিদর্শন করে একটি দল। অন্য দলটি যায় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও বসিরহাটে।

সন্দেশখালির দুটি ব্লকেরই বাঁধের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। দ্বীপগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের দেখতে পেয়ে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানান গ্রামবাসীরাও। শনিবার সকালেও প্রায় সারপ্রাইজ ভিজিটের মতো তাঁরা চলে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ নং ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটানদিঘি গ্রামে।

বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। এদিন বাম ও কংগ্রেসের নেতারাও কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*