গড়িয়ার বোড়ালে শ্মশানকাণ্ডের জেরে মৃতদেহের সৎকার পদ্ধতি বদলের কথা ভাবছে নবান্ন। সেকথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চিঠি দিয়ে জানালেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, গড়িয়ার আদি মহাশ্মশানে একজন কর্মী আঁকশি দিয়ে টেনে পচা-গলা মৃতদেহ গাড়িতে তুলছেন। সেই গাড়িটির গায়ে কলকাতা পুরসভা লেখা ছিল। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে বিতর্ক ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। গোটা ঘটনাটিকে অসংবেদনশীল এবং অমানবিক বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে নবান্ন ও পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বলে জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
এরপরই রাজভবনকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা দেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্য সরকার মৃতদেহের সম্মানে বিশ্বাস করে। সেই সম্মান কোনও অবস্থাতেই নষ্ট হতে দেওয়া যায় না’। একই সঙ্গে দাবিদারহীন দেহ সৎকারের পদ্ধতি বদল করে যাতে আরও উন্নত করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রাজভবনকে জানিয়েছে রাজ্য।
তবে এই দেহগুলির সঙ্গে করোনার সম্পর্ক নেই বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে। তবে নবান্ন চিঠি দিলেও বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে রাজ্যপালকে কোনও রকম রিপোর্ট দেওয়া হবে না বলে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাজ্যপাল পাবলিসিটির জন্য এটা করছেন। আমি এই নিয়ে কথা বলবো না। উনি যদি রাজ্যপাল হিসেবে রিপোর্ট চাইতেন আমি দিতাম। যেহেতু একটা দলের হয়ে কাজ করতে এসেছেন, তাই আমি কোনও রিপোর্ট দেব না, কথাও বলব না।’ তিনি এও জানিয়ে দেন যে, রাজ্যপালের আহ্বান সত্ত্বেও তিনি দেখা করতে যাচ্ছেন না রাজভবনে।
আর এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, শনিবার ১১টায় আমি যাব না ওনার সঙ্গে দেখা করতে। তাহলে তো দিলীপ ঘোষ ডাকলেও তার অফিসে যেতে হবে।
Be the first to comment