রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কার্যত আট হাজারের ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে। ভাইরাসের আক্রমণে সুরক্ষিত নয় জেলাগুলিও। এই পরিস্থিতিতে কোভিডের সঙ্গে যুদ্ধে ১৪ দফা কৌশল নিল নবান্ন। পুলিশ হাসপাতালে বাড়ানো হচ্ছে বেডের সংখ্যা। রেল, স্টিল, কোলের কাছ থেকেও চাওয়া হচ্ছে হাসপাতাল। রাজ্যের একাধিক আমলাকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ানক আকার নিচ্ছে। একাধি রাজ্যে নিভছে না শ্মশানের চিতা। বেডের আকাল, চারদিকে স্রেফ আতঙ্ক।
এমতাবস্থায় কোন কৌশলে হাঁটছে নবান্ন?
১. সরকারি-বেসরকারি-রাজ্য ইএসআই মিলিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে মোট ১২৯০০ শয্যার জোগান।
২. আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের জন্য ১২টি পুলিশ হাসপাতালে ৩৪০ শয্যার সেফ হোম।
৩. কলকাতার কর্পোরেট হাসপাতাল-পর্যটন দফতরের সহযোগিতায় স্যাটেলাইট সেন্টার।
৪. রেল, প্রতিরক্ষা, স্টিল, কোল অথরিটির হাসপাতালগুলিকে রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি।
৫. করোনা রোগীর চিকিৎসায় টেলিমেডিসিন পরিষেবার পরিকাঠামো উন্নয়ন।
৬. হোম আইসোলেশন, সেফ হোম, স্যাটেলাইট সেন্টারের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের পৃথক প্রোটোকল।
৭. সরকারি-বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে কোভিড বিধি মানার জন্য নির্দেশিকা।
৮. হোটেল, ক্লাব, সুইমিং পুলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পনা স্থির করতে টাস্ক ফোর্স।
৯. সামাজিক-সাংস্কৃতিক আঙিনায় সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা নেবে তথ্য সংস্কৃতি দফতর।
১০. রেল-মেট্রো স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, গঠিত হবে টাস্ক ফোর্স।
১১. পরিযায়ী শ্রমিকেদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা, প্রয়োজনে পাঠানো হবে সেফ হোমে।
১২. সীমন্ত এলাকায় সড়কপথে পরিযায়ী শ্রমিকদের গতিবিধিতে নজর।
১৩. কোভিডে মৃতদেহ সৎকারের পরিকাঠামো বৃদ্ধি।
১৪. প্রতিটি জেলার কোভিড চিকিৎসার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭ হাজার ৭১৩ জন। যার ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৫০৮। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। যার ফলে রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ১০ হাজার ৫৪০।
Be the first to comment