মুখ্যমন্ত্রীহীন নবান্ন ঘেরাওয়ে কর্মসূচি সফলভাবে পালনে জোরকদমে প্রস্তুত হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কর্মী, সমর্থকরা। আর তা ব্যর্থ করতে রণসজ্জা পুলিশের। রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবনের বাইরে এই আবহ যখন সকলের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে, ঠিক সেসময় অন্দরে কিন্তু অন্য ছবি। সেখানে বিপ্লবী বাঘাযতীনের প্রয়াণ দিবসে পালনের তোড়জোড়। ভিতরে চলছে দেশাত্মবোধক গান। ঠিক ১২টার সময়ে বাঘাযতীনের মূর্তিতে মাল্যদান করবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপর হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু বিজেপির নবান্ন অভিযানের কারণে এদিন খুব সকালেই হাজির শিল্পীরা। ভিতরেই চলল মহড়া। সেখানেও অগ্নিযুগের আবহ, বাইরের মতোই, তবে একটু ভিন্ন।
বিদ্রোহ, প্রতিবাদ কি শুধু বাইরেই? তা নয় মোটেও। বাইরে যদি বিরোধীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা নেয়, তাহলে ভিতরেও প্রস্তুত আরেক পক্ষ। একপক্ষের হাতিয়ার যদি হয় মিছিল, স্লোগান, অপরপক্ষ তবে ভরসা রেখেছে দেশপ্রেমের প্রদীপালোকের ঔজ্জ্বল্যে, শক্তিতে। তাই তো নবান্নের ভিতরে এবং বাইরে আজ দেখা গেল দুই সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি। বাইরে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের প্রায় রণংদেহী মূর্তি। আর অন্দরে চলছে দেশমাতৃকার বন্দনা, দেশপ্রেমের গান গাইছেন শিল্পীরা। সেও এক প্রতিবাদ, সেও এক যুদ্ধের ভাষা।
আসলে আজ বিপ্লবী বাঘাযতীন অর্থাৎ যতীন দাসের প্রয়াণ দিবস। প্রতিবছরই তা পালিত হয় নবান্নে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত না থাকলে কী হবে, শ্রদ্ধা অর্পণে কোনও খামতি নেই। বেলা ১২টায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। তার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
Be the first to comment