২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃতীয়বারের জন্য মন্ত্রীসভায় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিরাম মাহাতো এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের মতো মুখকে গুরুত্ব দেওয়া হল এবার। দায়িত্ব কমলো ব্রাত্য বসু ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। দপ্তর বদল হল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দায়িত্বে ছিল অচিরাচরিত শক্তি দপ্তর ও বিদ্যুৎ দপ্তর। যার মধ্যে অচিরাচরিত শক্তি দপ্তর তাঁর থেকে নিয়ে নেওয়া হলো। দপ্তরটি পেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে পঞ্চায়েত ও অচিরাচরিত শক্তি, এই দু’টি দপ্তর থাকবে। এদিকে, ব্রাত্য বসুর কাছে ছিল দু’টি দপ্তর। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জৈবপ্রযুক্তি ও বন দপ্তর। সেখান থেকে বন দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে থাকা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরটি তাঁর হাত থেকে গেলো প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের হাতে। অন্যদিকে, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী হলেন শান্তিরাম মাহাতো।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এর আগে পর্যন্ত দু’বার মন্ত্রীসভায় বদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রথমবার ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর জুন মাসে। তারপর ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর। প্রথমবার রদবদলের সময়ই সেচ দপ্তর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁকে দেওয়া হয় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ। এবার সেটিও পালটে তাঁকে আনা হল বন দপ্তরে। এদিকে দিদির গুডবুকে তুলনামূলক আগে থাকা ব্রাত্য বসুরও হাত থেকেও একটি দপ্তর কমানো হলো।
বিধানসভা ভোটের সেমিফাইনাল, পৌরসভা ভোট ও ২০২১-এর ফাইনালকে মাথায় রেখেই এবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হল শান্তিরাম মাহাতোকে।
Be the first to comment