নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,
১. ২রা জানুয়ারী রাজ্য সরকারের প্রত্যেকটি দফতরে ই-অফিস চালু করা হবে। তার ফলে প্রত্যেকটি ফাইল নলেজে থাকবে। এটি আবশ্যিক করা হলো। কেউ যদি এর মধ্যে দিয়ে না যান তাহলে তাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মাধ্যমে প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতার উপর জোর দিতে চাইছেন এই সিদ্ধান্ত তাই প্রমাণ করে।
২. মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে থেকে এখনো পাইনি, তা সত্ত্বেও বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, বন্যা ত্রাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারই অতিরিক্ত অর্থ বাবদ তাদেরকে প্রদান করেছে।
৩. অনেক সময় কোনো কোনো দপ্তরের কাজে বাজেটের টাকা বেঁচে যায়। এরপর থেকে সিদ্ধান্ত হলো ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে দফতর জানাবে কত টাকা বেঁচে গেছে। তার ২৫ শতাংশ টাকা গ্রামীন রাস্তা এবং পানীয় জলের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এইভাবে আমরা খরচ থেকে বাঁচাবো। পুরুলিয়া জলপ্রকল্পের কাজ করছে জাইকা। এর মাধ্যমে ১৫টি ব্লক জল পেতো। কিন্তু ৪ বছর ধরে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া সত্ত্বেও এখন সবে টেন্ডার করছে তারা। এই সবের ক্ষেত্রে আমরা আরো বেশি যত্নবান হবো।
৪. মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৬তে পরিকল্পনা খাতে অর্থ দেওয়া হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০১৭ সালে সেটা হয়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই অর্থের ১০০ শতাংশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেরও ১২ হাজার কোটি টাকা পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও হেলথ সেন্টার গুলোর উন্নয়নের জন্য আরো ১২০০ কোট টাকা দেওয়া হয়েছে।
৫. ডি.এম কে মাথায় রেখে জেলা স্তরে কমিটি তৈরী করা হবে। এতে পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য দফতর, পুরুসভার প্রতিনিধিরা থাকবে। এরা অজানা জ্বর বা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
Be the first to comment