রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে জমা পড়ল রাজ্যের শিক্ষানীতি। রাজ্যের শিক্ষানীতি বিষয়ক কমিটির সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা পর্যালোচনামূলক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের শিক্ষানীতি নিয়ে কী ভাবা হচ্ছে, তা নিয়ে সেই বৈঠকে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়। খসড়া রিপোর্টও শিক্ষানীতি বিষয়ক কমিটি জমা দিয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে। রিপোর্টে জাতীয় শিক্ষানীতির একাধিক অংশ প্রাধান্য পাচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
রাজ্যের শিক্ষানীতি তৈরির ক্ষেত্রে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’-র একাধিক অংশকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তবে জাতীয় শিক্ষানীতির যে অংশগুলি রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য সুবিধাজনক নয়, সেই অংশগুলিকে রাজ্য শিক্ষানীতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতির অংশকে মান্যতা না দিয়ে স্কুল শিক্ষায় মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক দুটি স্তর রাখার পক্ষে রাজ্য সরকার। তবে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে স্কুল স্তরে সেমিস্টার সিস্টেম নিয়ে আসার কথা রিপোর্ট বলা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতির বাইরে ‘স্পোর্টস পলিসি’ নিয়ে আসছে রাজ্য। প্রতিদিন স্কুলে-স্কুলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
তবে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির অনুযায়ী না মানলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক অনুদান পেতে সমস্যা হতে পারে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাতেই পাঠক্রম-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জাতীয় শিক্ষানীতির মতামত গুলিকেই বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে রাজ্য শিক্ষা নীতিতে বলেই জানা গিয়েছে।
এমফিল-এর তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রেও জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সহমত রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, খসড়া রিপোর্টে PHD-সহ উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির বেশিরভাগ অংশকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট এলেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করে তা অনুমোদন করানো হবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের শিক্ষানীতি কার্যকর করা হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
Be the first to comment