৭ শতাংশেরও বেশি ‘রেফার’ রোগে ভুগছে রাজ্যের ১৩টি হাসপাতাল! কড়া নোটিস নবান্নের

Spread the love

সরকারি হাসপাতালের রেফার রোগ রুখতে একাধিকবার পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। অকারণে রোগী রেফার বন্ধ করতে ব্লক, মহকুমা, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালগুলিকে বারবার নোটিস দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও রেফার রোগ যেন রোখা যাচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তি জারির পর প্রায় ৩ সপ্তাহ সময় কেটে গেলেও রেফার করেই চলেছে কিছু হাসপাতাল। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের ১৩টি হাসপাতালে এখনও ৭ শতাংশেরও বেশি রোগী রেফার করা হয়। এই রিপোর্টকে হালকাভাবে নিতে নারাজ নবান্ন। ওই হাসপাতালগুলির সুপার এবং সংশ্লিষ্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে আরও একবার রেফার আটকাতে নোটিস পাঠানো হল।

সম্প্রতি রাজ্যের ছোটবড় সমস্ত হাসপাতালের রোগী রেফারের ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা করা হয়। ওই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের ১৩টি হাসপাতাল ৭ শতাংশেরও বেশি রোগী রেফার করে দেয়। ওই হাসপাতালগুলি হল- হাওড়ার বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লোস্টার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল, নৈহাটি মহকুমা হাসপাতাল, পানিহাটি মহকুমা হাসপাতাল, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা হাসপাতাল, বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল।

ওই তালিকায় থাকা বাকি হাসপাতালগুলি হল, বাঁকুড়ার খাতরা মহকুমা হাসপাতাল, মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতাল, নদিয়ার কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল, কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল, জলপাইগুড়ির মাল মহকুমা হাসপাতাল, কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতালগুলির সুপার এবং সংশ্লিষ্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে আরও একবার নোটিস পাঠাল নবান্ন। উল্লেখ্য, সপ্তাহ তিনেক আগে হাসপাতালে রোগী রেফার রোগ রুখতেও নোটিস পাঠায় রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।

আগেই রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও হাসপাতালে ভরতি আসা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করা আবশ্যিক। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও হাসপাতালে স্থানান্তর করা যাবে না। কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন রোগীর পরিজনেরা, তা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে। ওই হাসপাতালে বেড এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো রয়েছে কিনা, তা আগে থেকে জেনে তবেই রেফার করা যাবে। যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকে, তবে ওই হাসপাতালে রোগীকে আর রেফার করা যাবে না। রেফার করার ক্ষেত্রে এবারও একই গাইডলাইন মানতে হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*