কিষেণজির মৃত্যুর বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়ে মঙ্গলবারই মাও পোস্টার পড়েছে বাঁকুড়ায়। এর আগেও জঙ্গলমহলে মাও গতিবিধি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ ও তার তিন প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবরা বৈঠকে বসলেন নবান্নে। জানা গিয়েছে, মাও (Maoist) সমস্যার পাশাপাশি বর্ষায় বাঁধ থেকে জল ছাড়া এবং নদীর জল বণ্টন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফের সংগঠন বাড়াচ্ছে মাওবাদীরা। বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের পর পশ্চিমবঙ্গেও রিগ্রুপিংয়ের চেষ্টা করছে তারা। এমন ইঙ্গিত মিলেছে গোয়েন্দা রিপোর্টে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় আরও নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চার রাজ্যের প্রশাসন। নবান্ন সূত্রের খবর, ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের স্ট্যান্ডিং কমিটির এই বৈঠকে করোনার কারণে রাজ্যগুলোর আর্থিক দূরবস্থা ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। একযোগে কেন্দ্রের কাছে এই ইস্যুতে বাড়তি সহায়তার দাবি করা হবে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০১৮ সালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০১৯ সালে হয় সচিব পর্যায়ের বৈঠক। যেমন এবছর হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এরপরের পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভাইস-চেয়ারম্যান তথা এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সীমান্তে সিআইএসএফ ও বিএসএফের কাজের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন ছিল, উত্তরপ্রদেশ, অসম থেকে কয়লার গাড়ি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ থেকে গরুর গাড়ি বাংলা হয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছে। কেন কেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে না? কেন সিআইএফএফ, বিএসএফ নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে না? এদিনের বৈঠকে সীমান্তের এই সব সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment