দেশজুড়ে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। বাদ নেই বাংলাও। কিন্তু কী ভাবে তা মোকাবিলা করবে রাজ্য প্রশাসন, তারই রূপরেখা তৈরিতে সোমবার বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে জেলাশাসক ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিছুতেই রোখা যাবে না করোনার তৃতীয় ঢেউ। আগামী ৬-৭ সপ্তাহের মধ্যেই তা আছড়ে পড়তে পারে দেশে। এমনটাই সতর্কবাণী শুনিয়েছেন এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। এদিকে টিকা সঙ্কটের কারণে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলকে ডিসেম্বরের মধ্যে টিকাকরণ। বাংলায় টিকার অপ্রতুলতার কারণে আপাতত ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকাকরণও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই সব বয়সের নাগরিককে টিকা নয়। ১৮-এর বেশি বয়সী সকলকে একযোগে টিকা দিতে গেলে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন মজুত থাকা দরকার, তা নেই।
এদিকে রাজ্যের চিন্তা তৃতীয় ঢেউ থেকে কী ভাবে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষকে রক্ষা করা যায়। উদ্বিগ্ন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। সোমবার দুপুর তিনটেয় নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন তিনি। রাজ্য প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক থাকবেন, জেলাশাসকরা থাকবেন। ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শিশুদের জন্য ১২ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য।
তবে করোনার লড়াইয়ে মূল হাতিয়ার যেহেতু টিকাকরণ, তাই যতটা সম্ভব তা দ্রুত সারতে হবে। কিন্তু এখনও টিকার ঘাটতির অভিযোগ তুলছে রাজ্য। সোমবারও সকলের টিকাকরণ সম্ভব হল না রাজ্যে। একদিকে যখন সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটি, সেখানে কী ভাবে সবটা সামলে এই বিপদ মোকাবিলা করা যায়, তার পথ খুঁজতেই এদিন বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment