শেষ দফার ভোটের আগে রাজ্যে প্রচারে এসে জেপি নাড্ডা জানিয়ে দিলেন, ষষ্ঠ দফার শেষেই পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়ার মতো আসন পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। বাকি দুই দফায় লড়াই হচ্ছে শুধুমাত্র ব্যবধান বাড়ানোর জন্য। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগেই বিজেপি যে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত, এ দিন তা জোরালভাবে দাবি করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে করা মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনা নিয়েও মুখ খোলেন নাড্ডা।
আগামী ২৯ এপ্রিল অষ্টম দফার ভোট বঙ্গে। কোভিডের জেরে পরিবর্তিত নিয়মের কারণে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় প্রচারের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তার আগে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন জেপি নাড্ডা দাবি করেন, বাংলার মানুষ বিজেপিকে দুহাত তুলে আর্শীবাদ করেছেন। আগামী ২ মে-র পর গেরুয়া পতাকাই উড়বে এই বঙ্গে।
পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় নিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচার ছিল উস্কানিতে ভরপুর। আর বিজেপির প্রচার ছিল ইতিবাচকতায় ভরা। মমতার আধাসেনাকে ঘেরাও মন্তব্য নিয়েও খোঁচা দেন তিনি।
নাড্ডার দাবি, ষষ্ঠ দফার পরই বাজিমাত করে ফেলেছে বিজেপি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির পকেটে চলে এসেছে। এখন শুধুই ব্যবধান বাড়ানোর কাজ করছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বাংলার জনগণকে আগেভাগে ধন্যবাদ জানিয়ে যান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যে বিশেষণ ব্যবহার করে আক্রমণ করেছিলেন তারও সমালোচনায় সরব হন নাড্ডা। প্রশ্ন তোলেন, “এই ভাষা কি আদৌ বাংলার সংস্কৃতি?”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নির্বাচন কমিশনকে আজ মাদ্রাজ হাইকোর্ট যে ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে, তারও বিরোধিতা করতে শোনা যায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিকে। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠানই এককভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউর জন্য দায়ী।” আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভবত খুনের মামলা’ হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। এই নিয়ে পালটা এ দিন নাড্ডাকে বলতে শোনা যায়, “এটা মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় না পর্যবেক্ষণ? আমি একটাই বলব, বিচারপতিদের ভাষা সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।”
Be the first to comment