সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধ থামাতে সংস্থার প্রধান অলোক বর্মা ও সিবিআই স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হল। পরিবর্তে, এম নাগেশ্বর রাওকে অন্তর্বতী সিবিআই ডিরেক্টর করা হল। তেলেগু আইপিএস অফিসার নাগেশ্বর রাও তেলেঙ্গনার ওয়ারাঙ্গাল জেলার ১৯৮৬ সালের অফিসার ব্যাচ। এতদিন ওড়িশা ক্যাডারের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন তিনি।
গত এক মাস ধরে সিবিআই শীর্ষকর্তাদের মধ্যে কার্যত গোষ্ঠী লড়াই শুরু হয়।ঘুষকাণ্ডে আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। আস্থানাকে সমস্তরকম দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নোটিশও জারি করেন অলোক বর্মা।সোমবার ঘুষকাণ্ড মামলায় হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ না দিলে সেদিনই গ্রেফতার হতে পারতেন আস্থানা।
সিবিআই গৃহযুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে সংশয়ে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এতে কোনও সন্দেহ নেই।সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতেই কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের(CVC) সুপারিশকে হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিজিল্যান্স কমিশনের সুপারিশ ছিল, অলোক বর্মা ও রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠানো হোক। রাকেশের বিরুদ্ধে যেমন ঘুষকাণ্ড তেমনই আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাই কেউই সন্দেহের উর্ধ্বে নন। সিবিআইয়ের গরিমা অক্ষুন্ন রাখতে হলে দুজকেই সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। মোদী তাই করলেন।
রাজনৈতিক শিবিরের মত, এই সিবিআই শীর্ষকর্তাদের গৃহযুদ্ধ মোদীকে অন্যভাবে চাপে ফেলেছে। লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিকভাবে সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ। চিদাম্বরম থেকে শুরু করে চিটফাণ্ডের তদন্তে হঠাৎ গতি বাড়িয়ে বিজেপি সেটাকেও ভোটের ইস্যু করতে তৎপর। এই অবস্থায় সিবিআইয়ের বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সেই সব অস্ত্রও ভোঁতা হয়ে যাবে।ফলে উপায় না দেখেই এম নাগেশ্বরকে সিবিআই ডিরেক্টর পদে বসানো হল।
Be the first to comment