হয় হেলমেট ব্যবহার করুন, নইলে জরিমানার বদলে এক ইউনিট রক্তদান করুন। এইভাবে একঢিলে দুই পাখি মারল ডুয়ার্সের নাগরাকাটা থানার পুলিশ।
এ বছর গরমের শুরু থেকেই রক্তের আকাল চলছিল জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কে। প্রথমে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে টানাপড়েন, তাই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি ব্যস্ত থাকায় দীর্ঘদিন কোনও রক্তদান শিবির হয়নি এলাকায়। ভোট পর্ব মিটতে মিটতে আকাল তীব্র হয় আরও। এরপর বর্ষার মরসুম। তখনও রক্তদান শিবির করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে রক্তের আকাল চলতেই থাকে। আর রক্তের সঙ্কটের জেরে অসুস্থ মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। এই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল নাগরাকাটা থানার পুলিশ।
ওসি সৈকত ভদ্রের উদ্যোগে থানার বিশ্রামাগারে চলছিল রক্তদান শিবির। সকাল থেকে রক্তদানের জন্য রীতিমতো ভিড় ছিল পুলিশ কর্মীদের। পাশাপাশি থানা লাগোয়া রাস্তায় চলছিল বাইক চেকিং। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ এর এত প্রচারের পরেও হেলমেট না পরে মোটরবাইক চালানো এখানকার দস্তুর। তাই মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছেন, অথচ মাথায় হেলমেট নেই, এমন লোকদের খুঁজে বার করা খুব একটা কঠিন ছিল না মোটেই। অন্য দিন যাঁরা হেলমেট পরেন না তাঁদের জরিমানা করা হয়। কিন্তু এ দিন আবেদন করা হয়, রক্তদান করুন, জরিমানা দিতে হবে না।
শুধু এইভাবেও বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রুপের মোট ১৫০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হয় বলে নাগরাকাটা থানা সুত্রে খবর।
Be the first to comment