তৃণমূলের ষড়যন্ত্রে ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু ও হিন্দিভাষী ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ শুভেন্দুর

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- তৃণমূল কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রে ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল বঙ্গ বিজেপি। পাশাপাশি তালিকা থেকে হিন্দিভাষী ভোটারদেরও নাম কাটা হচ্ছে। সেই প্রতিবাদে বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর পর্যন্ত মিছিল করল যুব মোর্চা।
ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ডাকে ডেপুটেশন র‍্যালি আয়োজন করা হয়। বিজেপির দলীয় কার্যালয় মুরলীধর সেন লেন থেকে র‍্যালির ডাক দেওয়া হয়। ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল শেষ হয়ে তারপর বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ১৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে পৌঁছায়।
সেখানে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন জমা দেয় বিজেপি। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বলেন, “গত ২৫ জানুয়ারি বাংলায় ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকা অনুসারে গড়ে ভোটার বৃদ্ধি হচ্ছে ৮.৬৯ শতাংশ। কিন্তু এর বাইরে ১৩৬টি বিধানসভায় ১৮ থেকে ২০ শতাংশ হারে অস্বাভাবিকভাবে ভোটার বেড়েছে। এগুলো অধিকাংশই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলায়। হিন্দি ভাষাভাষী ভোটাররা উদ্বাস্তু হয়েছেন কিংবা ধর্মীয় কারণে নাম কাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, নিউটাউনে ১৯.৯৬ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ১৩৬টি বিধানসভার মধ্যে ৮২ টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত বিধানসভা। সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে স্পেশাল রিভিশন হয়। বিজেপি নেতার দাবি, এই সময়ে ৭ লক্ষ ভোটার বাতিল করার আবেদন করেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, “আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এর মধ্যে ৬ লক্ষ ৯০ হাজার হিন্দু এবং হিন্দি ভাষাভাষী ভোটার। মুখ্যমন্ত্রীর কথার প্রেক্ষিতে ২ লক্ষ ৩৩ কোটি ২৭ হাজার মানুষ যাদের ভোট দিয়েছে তারা জুমলা পার্টি? এটা শুধু আমাদের অপমান নয়, পুরো পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষের অপমান।”
উল্লেখ্য, এদিন লোকসভায় ওয়াকফ বিল পেশ করা হয়েছে। এই বিলের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “সংখ্যালঘুরা বিশেষত মহিলারা মোদিজিকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।” সিপিএমকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে এসএফআই-এর ক্যাম্প দেখা যায় না, রামনবমীতে নাকি ক্যাম্প করবে। সিপিএম শূন্য শূন্যই থাকবে।”
এদিকে, রাজ্যের নতুন নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালের বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বলেন, বিজেপি আশা করে এই নয়া সিইও যেন আরিফ আফতাবের মতো না হন। তাঁর অভিযোগ, আরিফ আফতাব নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়কে তৃণমূল পার্টি অফিসে পরিবর্তন করেছিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*