মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তারুণ্যকেই হাতিয়ার করতে চাইছে সিপিএম। নন্দীগ্রামের আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নাম। ফলে এ বারের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে যে কার্যত ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে তা স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রথম দুই দফার আসনে একমাত্র নন্দীগ্রামেই আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাকি ছিল সিপিএমএম-র। সেই আসনের প্রার্থী এ দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। এদিন সাংবাদিক করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। নন্দীগ্রামে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী করা হল মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে। অন্য দিকে, প্রার্থী করা হল ঐশী ঘোষকে। জামুড়িয়া থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। এছাড়াও প্রার্থী করা হয়েছে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীকেও। কিছু আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেখানে প্রার্থী দেবে ISF ও কংগ্রেস।
কংগ্রেস ও আইএসএফ-র সঙ্গে বোঝাপোড়া চূড়ান্ত হলেও কাগজপত্রের ফাঁদে আটকে রয়েছে কিছু প্রক্রিয়া। সেই কারণে এ দিন কেবল বামেরা নিজেদের প্রার্থীর নামই ঘোষণা করে। দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকায় যে তরুণ প্রার্থীদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা প্রার্থীদের নামগুলিতেই সাফ হয়ে গিয়েছে। ফলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্য দুই-ই প্রাধান্য পেয়েছে। শিলিগুড়ি, রায়দিঘীর মতো আসনে একদিকে যেমন প্রত্যাশিতভাবে পুরনো মুখগুলিকে প্রার্থী করা হয়েছে, তেমনই বেশ কিছু আসনে ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতারা সুযোগ পেয়েছেন। দেখে নিন দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর কাদের নাম এল তালিকায়।
বাসন্তী- সুভাষ নস্কর, কুলতলী- রামশঙ্কর হালদার, রায়দিঘী- কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, কুলপি- আইএসএফ, জয়নগর- অপূর্ব প্রামাণিক, বারুইপুর পূর্ব- স্বপন নস্কর, ক্যানিং পূর্ব- আইএসএফ, ক্যানিং পশ্চিম- কংগ্রেস, ডায়মন্ড হারবার- প্রতিকূর রহমান, খানাকুল- নিষ্পত্তি হয়নি, কসবা- শতরূর ঘোষ, যাদবপুর- সুজন চক্রবর্তী, টালিগঞ্জ- দেবদূত ঘোষ, বালি- দীপ্সিতা ধর, আরামবাগ- শক্তিমোহন মালিক, সিঙ্গুর- সৃজন ভট্টাচার্য, চণ্ডীতলা- মহম্মদ সেলিম।
শিলিগুড়ি- অশোক ভট্টাচার্য, কামারহাটি- সায়নদীপ মিত্র, দমদম- পলাশ দাস, রাজারহাট নিউটাউন- সপ্তর্ষি দেব, বর্ধমান দক্ষিণ- পৃথা তা।
Be the first to comment