সকালেই শহিদ স্মরণ মমতার, বুধবার নজরে নন্দীগ্রাম

Spread the love

বুধবার নন্দীগ্রাম দিবস। ২০০৭ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হয়েছিল জমি আন্দোলন। ওই বছর ১৪ মার্চ তৎকালীন বাম সরকারের নির্দেশে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। ঘটনায় ১৪ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারকে। ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে আবারও হিংসার ঘটনা ঘটেছিল নন্দীগ্রামে।

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছর ভূমি উচ্ছেদ কমিটি ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’ -এ শহিদদের কুর্নিশ জানিয়ে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘নন্দীগ্রামের শহিদদের আমরা ভুলছি না, ভুলব না। নন্দীগ্রাম সহ সারা পৃথিবীর সকল শহিদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।’

এদিকে বুধবার নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ কমিটির তরফ থেকে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল গোকুলনগরের করপল্লিতে। এদিনের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, তাপস রায়, জয়া দত্ত, অখিল গিরি, দেবব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম, পূর্ণেন্দু বসুরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁরা অনিবার্য কারণবশত সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/posts/4828264160574220

এর আগে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীই প্রতি বছর নন্দীগ্রাম দিবসের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিতেন। তবে এবারে সেই শুভেন্দুই পদ্ম শিবিরে। এদিন তৃণমূলের তরফ থেকে যেমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তেমনই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেও আরেকটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এদিন দুটি ব্যানারে পালিত হচ্ছে নন্দীগ্রাম দিবস। তবে এ চিত্র নতুন নয়। কারণ, গত বছরও শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে পৃথকভাবে পালিত হয়েছিল নন্দীগ্রাম দিবস।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*