পঞ্চায়েত নির্বাচনের সকাল থেকেই শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তাল হল রাজ্য। শাসক শিবির যেমন এলাকা সন্ত্রস্ত সরে ভোট করতে শশব্যস্ত, সমানে পাল্লা দিল বিরোধীরাও। এমনকী নন্দীগ্রামের মতো জায়গাও বাদ গেল না, বিরোধীরা ছুড়ে দিল চ্যালেঞ্জ। শুভেন্দু অধিকারীর নিজের গড়েই বিরোধীদের হাতে আক্রান্ত হল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন তৃণমূলের সঙ্গে দফায় দফায় বিজেপি ও নির্দল কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের সাতেঙ্গাবাড়ি। সাতেঙ্গাবাড়িতে তৃণমূলের উপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এক তৃণমূল সমর্থকের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে ১৫ জন তৃণমূল সমর্থক। আহত তৃণমূল সমর্থকদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
তবে বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে জেতার চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। সংঘর্ষের মাত্রা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই কারণেই বিরোধীরা প্রতিরোধের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে। বিগত নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামে বামেদের সরিয়ে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিচুতলায় বাম-বিজেপি অনেক ক্ষেত্রেই এক হয়েছে। ফলে প্রতিবাদের মাত্রা বেড়েছে। বেড়েছে সংঘর্ষের ঘটনাও।
Be the first to comment