শুরু হলো নারদ মামলা রাজ্য থেকে সরানোর দাবিতে সিবিআই-এর আবেদনের উপর শুনানি । শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।
আজ শুনানির শুরুতেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে ৷ কিন্তু নারদ মামলা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সিবিআই শুধু মাত্র চার অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন করেনি। আমরা চাই গ্রেফতারের পর এখানে যা ঘটেছে সমস্তকেই কলুষিত, বিকৃত বলে ঘোষণা করুক কলকাতা হাইকোর্ট এবং তা করতে গিয়ে যদি চার অভিযুক্তের জামিন খারিজ হয়ে যায় তাহলে সেটা করুক আদালত।”
সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, “গ্রেফতারের পরে যা হয়েছে তা দেশ তো বটেই, বিশ্বের ইতিহাসে কখনও হয়েছে কি না সন্দেহ আছে । ক্যাবিনেটের সদস্যরা গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না । পরিকল্পিত এবং সংগঠিতভাবে লোক নিয়ে এসে সিবিআই অফিস ঘেরাও করা হয়েছিল পাথর ছোড়া হয়েছিল । মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা ধর্নায় বসেছিলেন ৷”
তখন বিচারপতি সৌমেন সেন সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বলেন, “চার্জশিট কি আপনারা অনলাইনে জমা করেছিলেন নাকি সিবিআই আধিকারিকরা আদালতে গিয়ে দিয়ে এসেছিলেন?” সলিসিটর জেনারেল জানান, অনলাইনেই চার্জশিট জমা করা হয়েছিল । তখন আর এক বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঠিক কোন সময়ে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ সাধারণ মানুষ কখন থেকে সিবিআই দফতরের সামনে ঘেরাও করতে শুরু করে, এই তথ্যগুলো আদালতকে দিতে হবে ৷ কারণ এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ।”
Be the first to comment