ছবি- (এএনআই)
পাকিস্তান শুরু থেকেই কাশ্মীর নিয়ে প্রতারণা করে আসছে । ১৯৪৮, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে ওরা সেটাই করেছে । কিন্তু ১৯৯৯ সালে ভারত যে এভাবে জবাব দেবে তা কল্পনাও করতে পারেনি পাকিস্তান। শনিবার কার্গিল বিজয়ের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লিতে বিজয় দিবসের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে একথাই বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও তিন বাহিনীর প্রধান। এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার্গিলের শহিদদের আমার শ্রদ্ধা জানাই। যারা কার্গিল থেকে তেরঙ্গা সরানোর ষড়যন্ত্র আটকে দিয়েছে। নিজেদের রক্ত দিয়ে যারা সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছে তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। তাঁদের মায়েদেরও আমার প্রণাম। জম্মু ও কাশ্মীরের সকল বাসিন্দাকে আমার অভিনন্দন, যারা দেশের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০ বছর আগে যে বিজয় হয়েছে তা আমাদের উত্তরসূরিদের প্রেরণা জোগাবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি সেনাদের শৌর্যকে সম্মান জানাতে কার্গিলের মাটিতে মাথা ঠেকিয়েছি। কার্গিলের বিজয়স্থান আমাকে তীর্থস্থানের অনুভূতি দিচ্ছিল। কার্গিলে যা চলছিলো তা যুদ্ধ কিন্তু দেশের অন্য জায়গাতেও যুদ্ধ চলছিল। গোটা দেশ সেনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো। রক্তদানের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল কাতারে কাতারে যুবক। সেই সময় অটল বিহারি বাজপেয়ীজি দেশবাসীকে ভরসা দিয়েছিলেন। উনি বলেছিলেন, দেশের জন্য প্রাণ দিতে পারি। আপনাদের আশীর্বাদে অটলজির ওই ভরসাকে আমরা আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছি । এদিনের ভাষণে গত কয়েক বছরে সেনা ও তাদের পরিবারের কল্যাণে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন, শহিদদের বাচ্চাদের স্কলারশিপ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন নমো।
এরপরই পাকিস্তানের নাম নিয়ে মোদী বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশের মনে হয়েছিল ভারত প্রতিরোধ করবে, যুদ্ধ করবে। যুদ্ধের ফলে বিশ্ব আঁতকে উঠবে। হস্তক্ষেপ করতে, পঞ্চায়েত বসাতে কিছু লোক আসবে। আর ওরা নতুন একটা রেখা টানতে সফল হবে। কিন্তু, আমরা জবাব দেব, প্রভাব ফেলার মতো জবাব দেব, সেটা ওরা আশা করেনি। মোদীর মতে, কান্নাকাটি করার বদলে পাল্টা মার দেওয়ার রণনীতি শত্রুকে চাপে ফেলে দেয়। অটলজি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যে শান্তিস্থাপনে উদ্যোগী হয় তার জন্য অন্য দেশের নজর ঘুরে যায়।
পাশাপাশি এদিন পরোক্ষভাবে ট্রাম্প প্রসঙ্গে মোদীর বক্তব্য পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে ও তার সঙ্গে আরও কিছু সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে। কোনওরকম চাপের কাছে মাথা নিচু করে না ভারত ও দেশের সুরক্ষার সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না।
এদিন কী বললেন নরেন্দ্র মোদী?
শুনুন!
Be the first to comment