‘থালা বাজিয়ে’ সদর্থক বার্তা দেওয়া যেতে পারে, শিখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীই। তখন দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়নি। জল্পনা চলছিল। লকডাউন শুরুর এক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী থালা-বাসন-ঘটি বাজিয়ে করোনা যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে বলেছিলেন। গোটা দেশ তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল।
কিন্তু সেই ‘থালা বাজানো’ এখন প্রতিবাদের ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেই আন্দোলনকারী কৃষকরা এখন থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করছেন। বছর শেষে মোদীর ‘মন কি বাত’-এও অন্যথা হল না।
প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ চলার সময় থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ জানালেন আন্দোলনরত কৃষকরা। বিজেপি শাসিত হরিয়ানার রোহতকেই স্লোগান তুলে থালা বাজালেন অন্নদাতারা। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে একমাস ধরে আন্দোলেন অনড় কৃষকরা। একাধিকবার কেন্দ্র ও কৃষক নেতাদের মধ্য়ে বৈঠক হলেও রফাসূত্র মেলেনি। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি মেনে নেননি প্রধানমন্ত্রীও। তাই বিক্ষোভ প্রদর্শনে থালা বাজালেন কৃষকরা।
আজ বছর শেষের ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমনন্ত্রী একটি চিঠির প্রসঙ্গ টেনে এনে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের একত্রিত হওয়ার কথা। আর সেই সময়ই স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিনন্দন জানানোর জন্য থালা বাজাতে অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পন্থা অবলম্বন করেই প্রতিবাদী হলেন কৃষকরা।
এর আগেও কৃষকদের উদ্দেশে যখন ভাষণ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, তখনও থালা, ঘন্টা বাজিয়ে স্লোগান তুলেছিলেন অন্নদাতারা। বছর শেষের আগে আরও একবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা। ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় বৈঠক হবে কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনের। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বারবার কৃষক আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করার দায় চাপিয়েছেন বিরোধীদের উপর। তাঁর মতে, কৃষকদের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
Be the first to comment