বাংলা আমাদের দেশপ্রেম শিখিয়েছে। বাংলা থেকেই জাতীয় সঙ্গীত পেয়েছি। নেতাজির জন্মদিনে এভাবেই ভিক্টোরিয়া থেকে বাংলার জয়গান গাইলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মুখে আরও একবার শোনা গেল বাংলা কথা।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজির নাম শুনলেই আবেগতাড়িত হই। শক্তিসঞ্চারিত হয়। তিনি বলেন, শ্রদ্ধা জানাই নেতাজির মাকে। নেতাজিকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, বিশ্বে এমন কোনও শক্তি নেই যে ভারতকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বেঁধে রাখতে পারবে।
প্রধামন্ত্রী মোদী এদিন বলছিলেন নেতাজীর আদর্শেই আত্মনির্ভরতার পথ। এই বাংলাই ছিল নেতাজির কর্মভূমি। তার আদর্শেই আত্মনির্ভর হয়ে যুবসমাজকে এগিয়ে যেতে হবে। নরেন্দ্র মোদি বলেন, পরাক্রম ও প্রেরণার প্রতীক নেতাজি। মোদীর আশ্বাস প্রতিবছর পরাক্রম দিবস পালিত হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানের তাল কাটে অবশ্য শুরুতেই।কথা ছিল ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তা হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠায় প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন মমতা। বলেন, কাউকে ডেকে অপমান করা উচিত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই কলকাতায় অনুষ্ঠান পালনের আয়োজন করার জন্য। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমানিত করা উচিত নয়। আমি এই ঘটনার প্রতিবাদে এই অনুষ্ঠানে কোনও বক্তব্য রাখতে চাই না।
এরপরে বলতে উঠে মমতাকে বোন বলেই সম্বোধন করেন মোদী। বাংলা ও বাঙালির স্তুতি শোনা যায় তাঁর মুখে বারংবার। যদিও এই বিষয় নিয়ে একটিও মন্তব্য করেননি তিনি। মোদী স্মরণ করার ২০১৮ সালে আন্দামান দ্বীপের নাম নেতাজির নামে করা হয়েছে। নেতাজি সংক্রান্ত বহু তথ্যই জনতার সামনে এনেছে কেন্দ্র, এমনটা বলতে শোনা যায় মোদীকে। ঝাঁসির রানি ব্রিগেডের উদাহরণ টেনে আনেন তিনি নারীমুক্তির প্রসঙ্গে।
Be the first to comment