ব্রিগেডে পৌঁছোনোর আগেই তিনি ট্যুইটে লিখেছিলেন, ‘বিপুল জনসমাবেশের দিকে যাচ্ছি’। আর দুপুর আড়াই নাগাদ ব্রিগেডের মঞ্চে হাজির হয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলে দিলেন, রাজনৈতিক জীবনে বহু সমাবেশ করেছি। কিন্তু এমন সমাবেশ দেখিনি। আর এরপরই বিশেষ কোনও ভূমিকা ছাড়াই তিনি তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ করতে শুরু করেন। বলেন, ৩৪ বছরে বামেরা কিছু করেনি। তাই বাংলার মানুষ মমতা দিদিকে সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বাংলার ভরসা ভেঙেছেন দিদি। বিজেপিই বাংলাকে সোনার বাংলা করে তুলবে। আমাদের বাংলার ছেলে-মেয়েরা এবার আসল পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে আসছে। আমি এই ব্রিগেড থেকে বলে যাচ্ছি, আমরা আসল পরিবর্তন আনব।
‘বাংলা ঘরের মেয়েকেই চায়’-এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। আর এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগদান হওয়ার পর মোদি নিজের বক্তৃতায় তাঁকে ‘বাংলার ঘরের ছেলে’ বলে অভিবাদন জানান। মিঠুনের তখন চোখে জল। যা দেখে অনেকেই বলছেন, মিঠুনকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে দিতে পারে বিজেপি।
মোদী বলেন, ‘গত দশকে বহুবার স্লোগান উঠেছে ব্রিগেড চলো। কিন্তু এই ব্রিগেড উন্নয়নে বাধা দেওয়ারও সাক্ষী। ধর্মঘটের নীতি নির্ধারণের সাক্ষীও এই ব্রিগেড। কিন্তু এবার আসল পরিবর্তনের সাক্ষীও থাকছে ব্রিগেড। আসল পরিবর্তন মানে, কর্মসংস্থান, গরিবকে যেখানে উন্নতির দিকে এগিয়ে চলবে, আসল পরিবর্তন মানে নারীদের সুরক্ষা, আদিবাসী-দলিত-মুসলিম-আমাদের শরনার্থী ভাইবোন-সকলের উন্নতি হবে। সবকা বিকাশই আমাদের মন্ত্র হবে।’
এদিন নমো বলেন, বললেন, ‘স্বাধীনতার আগে বাংলার যা ভূমিকা ছিল, সেই গৌরব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেই গৌরব আবার ফিরে আসবে। দেশের উন্নতির জন্য আগামী ২৫ বছর খুব জরুরি। আর বাংলার আগামী ৫ বছর দেশের বিকাশে এগিয়ে দেবেন। সেই কারণেই বিজেপিকে ভোট দিন।’
Be the first to comment