স্বাধীনতা দিবসের ঠিক প্রাক্কালে ফের দেশভাগের যন্ত্রণা উসকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার এক টুইটে তিনি বললেন, দেশভাগের সময় যারা যারা প্রাণ হারিয়েছেন, বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবসে তাঁদের সকলকে শ্রদ্ধা জানাই। ওই মর্মান্তিক ঘটনার যারা সাক্ষী ছিলেন, তাঁদের সাহস এবং সহনশীলতারও প্রশংসা করছি।
দেশভাগের যন্ত্রণাকে কোনও ভাবেই ভোলা সম্ভব নয়। এই বার্তা দিয়ে গতবারই ১৪ আগস্ট দিনটিকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতবার মোদি দাবি করেছিলেন, সামাজিক ভেদাভেদ দূর করে দেশবাসীকে একসুরে বেঁধে রাখতে সাহায্য করবে এই দিনটি। ঘটনাচক্রে এই দিনটিই আবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণামতোই আজ দেশজুড়ে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালন করছে বিজেপি। দিনভর বিজেপির তরফে বহু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দলের একেবারে শীর্ষস্তরের নেতারা যাতে অংশ নিচ্ছেন।
এদিন সকাল থেকেই অবশ্য টুইটে বিজেপি নেতাদের বার্তা আসতে শুরু করেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা লিখেছেন, যারা দেশভাগের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেছে তাঁদের শ্রদ্ধা। স্বার্থপর এবং ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি কীভাবে দেশভাগ এবং যন্ত্রণা বয়ে এনেছিল, সেটা ভুলে গেলে চলবে না।” রাজনাথ সিংয়েরও বার্তা, দেশভাগের বিভীষিকা কোনওদিন ভোলা যাবে না।
বস্তুত, দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে এক অনিবার্য ক্ষতর মতো এসে পড়ে দেশভাগ প্রসঙ্গ। অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। যদিও বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা সম্ভবত এর দ্বিগুণেরও বেশি। সেই সঙ্গে অসংখ্য মহিলাকে ধর্ষণ ও অপহরণের কবলেও পড়তে হয়েছিল। সেই ক্ষত উসকে দিয়ে আসলে বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক কারবারিদের।
Be the first to comment