বিজেপি কর্মীরা বলে থাকেন ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। সোমবার প্রায় সেই সুরেই বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতদিন এখানে থাকবেন, ততদিন নয়াদিল্লি ও ঢাকা তিস্তা নদীর জল বণ্টনের সমস্যা-সহ সব দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবে।” দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও হাসিনা এক যৌথ বিবৃতি দেন। শেখ হাসিনা বলেন, “দুই দেশই বেশ কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমি মনে করি যে দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অসামান্য সমস্যার সমাধান করেছে এবং আশা করব যে, তিস্তার জল বণ্টন চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলির দ্রুত সমাধান হবে। আজ, আমি মোদীজিকে ধন্যবাদ জানাই যে আমরা কুশিয়ারা সমস্যার সমাধান করেছি। আমি জানি যতদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি এখানে থাকবেন, বাংলাদেশ ও ভারত এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে।”
এদিন দুই দেশের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর জল বন্টন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, চুক্তিটি দক্ষিণ অসম এবং বাংলাদেশের সিলেটের জনগণকে উপকৃত করবে। তিনি আরও জানিয়েছেন দুই দেশই বন্যার বিষয়ে পরস্পরের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেবে। করোনভাইরাস মহামারীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করাকে অপরিহার্য করে তুলেছে। তিনি বলেন, “দুই পক্ষ শীঘ্রই একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারির চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।” কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন চুক্তির পাশাপাশি রেলপথ, মহাকাশ, তথ্যপ্রযুক্তি ও সংবাদমাধ্যম বিষয়েও চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনা বলেছিলেন বন্ধুত্ব দিয়ে যে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায়। হাসিনা জানান, মোদীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা দুই দেশের জনগণের আর্থিক অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর আলোকপাত করবে। তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তাই, আমরা সবসময় এটা করে থাকি।”
Be the first to comment