আজ “মন কি বাত”-এ ফের আত্মনির্ভরতার বার্তাই শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর গলায়। বলেন, দেশীয় খেলনা শিল্পকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিতে হবে । খেলনা তৈরির হাব হয়ে উঠতে পারে ভারত।
প্যানডেমিকের মাঝে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সময় আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ প্রথম শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়। দেশীয় সামগ্রীর উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি। বার্তা দেন “ভোকাল ফর লোকাল”-এর। আজ “মন কি বাত”-এও বারবার সেই বিষয়টির উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেন, দেশের খেলনা শিল্প আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছাতে পারে । সেই দক্ষতা ভারতের রয়েছে । কিন্তু তার জন্য দেশীয় খেলনা শিল্পগুলিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শৈশবে খেলনা প্রয়োজন। বাচ্চারা খেলনা ভালোবাসে। সেই চাহিদা আমাদের পূরণ করতে হবে। আরও অনেক বেশি পরিমাণে খেলনা উৎপাদন করতে হবে । আমাদের দেশে অনেক শিল্পী আছেন যাঁরা দক্ষ। সুন্দর খেলনা বানান। তাঁদের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বে যে পরিমাণ অর্থের খেলনা তৈরি হয় সেখানে ভারতের অংশগ্রহণ অনেক কম।”
রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শিশুদের কথা ভেবেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে নজর দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষানীতিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে খেলনা তৈরির উপর। সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রমেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খেলনা শিল্পে MSME বিনিয়োগ করলে তা সফল হবে বলেও উল্লেখ করেন মোদী ।
আজ বিশ্বের খেলনা শিল্পে ভারতের অংশগ্রহণ কম। কিন্তু তাতে আশাহত না হয়ে এটা শুরু করার সময় বলে মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বার্তা, “একসঙ্গে মিলে আত্মনির্ভর খেলনা শিল্পের জন্য সরব হই। দেশীয় খেলনা দিয়েই বাচ্চাদের খেলনার চাহিদা পূরণ করি। স্থানীয় খেলনার প্রতি নির্ভরশীল হতে হবে আমাদের। আত্মনির্ভর ভারত নিজেদের খেলনা তৈরি করবে। ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে খেলনার ক্লাস্টার তৈরি হচ্ছে। স্টার্ট আপ কম্পানি শুরু করা যেতে পারে । একদিন স্টার্ট আপই বড় কম্পানি হবে।”
খেলনা শিল্পের পাশাপাশি ভার্চুয়াল গেমগুলির কথাও উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, “শিশুদের ভার্চুয়াল গেমের চাহিদাও পূরণ করতে হবে। তার জন্য দেশেই তৈরি করতে হবে নতুন গেমিং অ্যাপ।” সম্প্রতি চিনের বহু অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পরপরই আত্মনির্ভরতায় জোর দেওয়ার বার্তা দেয় কেন্দ্র । নিজস্ব অ্যাপ, নিজস্ব গেমিং অ্যাপের উৎপাদন এবং ব্যবহারের কথা বলে। আজও “মন কি বাত”-এ সেই প্রসঙ্গ ছুঁয়ে যান তিনি। দু’একটি নিজস্ব অ্যাপের কথাও উল্লেখ করেন, যে অ্যাপগুলি ভারতেই তৈরি হয়েছে।
দেশীয় খেলনা শিল্পের পাশাপাশি পুষ্টির কথাও আজ প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় উঠে আসে। তিনি বলেন, কোনও শিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন ভালো পুষ্টি । পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে হবে। তাহলেই শিশুর মানসিক বিকাশ হবে। দেশের সঙ্গে পুষ্টির এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে । নিউট্রিশন কার্ড বানানো শুরু করা যেতে পারে।
প্যানডেমিকে কৃষকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “খরিফ শস্যের উৎপাদন আগের বছরের থেকে সাত শতাংশের বেশি। এবং তুলোরও উৎপাদন তিন শতাংশ বেড়েছে ।”
Be the first to comment