ওমিক্রন রুখতে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার অর্থাৎ বড়দিনেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি ঘোষণা করেন, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য টিকাদান করা হবে নতুন বছরে। সোমবার অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি থেকেই ওই টিকাকরণ শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘স্কুল কলেজে পড়ুয়ারা যাচ্ছে। তাদের সুরক্ষার জন্য টিকাদান জরুরি।’ স্বাস্থ্যকর্মী সহ অন্য ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়ার ঘোষণাও করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থোকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রিকশনারি ভ্যাকসিন ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। কো-মর্বিডিটি যাঁদের আছে, তাঁদেরও ওই টিকাদান করা হবে।’
নরেন্দ্র মোদী এদিন জানিয়েছেন, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে নতুন বছরে। তবে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে যাঁদের, তাঁদের চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ওই ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেন মোদী। তিনি বলেন, ওমিক্রন বাড়ছে। আতঙ্কিত হবে না। সতর্ক থাকুন। মাস্ক পরুন। বারবার হাত ধুতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। কিন্তু তার জেরে যাতে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। ভাইরাস মিউটেশন হচ্ছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। আমাদের সৃজনশীল উদ্যম বাড়ছে। ১৮ লাখ শয্যা আছে। ICU ও নন ICU মিলিয়ে ৯০ হাজার শয্যা। চার লাখ অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। বাফার তৈরি করার চেষ্টা চলছে। টেস্ট কিট দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, ব্যক্তিগত কিছু আচরণ বদলে দিলেই করোনা রোখা সম্ভব। ভ্যাকসিন নির্মাণের কাজ জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রথমদিকে। সার্টিফিকেশন সহ সবকিছু নিয়ে কাজ করেছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে নিজেদের নাগরিকদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। ৬১ শতাংশ মানুষ ডবল ডোজ পেয়েছেন।’
পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘শীঘ্রই করোনা মোকাবিলায় দেশে নোজাল ভ্যাকসিন ও দুনিয়ায় প্রথম DNA টিকা শুরু হবে।’ মোদী বলেন, ‘ভারতে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। প্যানিক না করে কোভিড বিধি মেনে চলুন।’
Be the first to comment